প্রস্তাবিত বাজেটে আমদানিকরা বিলাসী পণ্য যেমন-বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। যদিও ইতোমধ্যে গত ২৩ মে এক প্রজ্ঞাপনে বিদেশি ফল, বিদেশি ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫টি এইচএস কোডভুক্ত পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে।
অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে এবারে বৃদ্ধি পেতে পারে তামাকজাত পণ্য। স্ল্যাব অনুসারে শুল্ক আরোপ হবে। এনবিআর সূত্রানুসারে সিগারেটের নিম্ন স্তরের তিনটি স্ল্যাবে বেশি দাম বাড়তে পারে।
অগ্রিম কর আরোপের কারণে দাম বাড়বে মদ জাতীয় পণ্যের। প্রস্তাবিত বাজেটে মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশীয় পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপে আমদানিকরা স্মার্ট মোবাইল ফোন দাম আরেক দফায় বৃদ্ধি পেতে পারে। সেক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো।
দাম বৃদ্ধি তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ি। ৪০০০ সিসি ওপরে বিলাসবহুল রিকন্ডিশন গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ও আগাম কর ও ভ্যাট মিলিয়ে কর প্রায় সাড়ে ৮০০ শতাংশে করভার রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই করভার এক হাজার শতাংশ বা তার বেশি হতে পারে বলে জানা গেছে।
শুল্ক বৃদ্ধি করণে আমদানিকরা ফ্রিজ ও এসির দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। দাম বাড়তে পারে আমদানিকরা সব ধরনের বিলাসবহুল হোম অ্যাপ্লায়েন্সের।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ প্রমুখ।