ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাজস্থলী থানার উদ্যােগে বিশেষ কার্যক্রম আয়োজন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জে ক্রাউন সিমেন্টে প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা ডাকসু নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সাংবাদিকের মৃত্যু ডাকসু জাতীয় নির্বাচনের মডেল হিসেবে কাজ করবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউস রেস্তোরাঁ পেলো ‘এ’ গ্রেড ডাকসু নির্বাচনে ভোট সুষ্ঠু হলে ফল যা-ই হোক মেনে নেব: ছাত্রদল সভাপতি কোনো অভিযোগ নয়, ভোটটা উদযাপন করতে চাই: ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি: ভিপি প্রার্থী আবিদুল ডাকসু নির্বাচন, নিয়ম ভেঙে ভোটকেন্দ্রে ঢোকার অভিযোগ ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুলের বিরুদ্ধে

যে দেশপ্রেমে লাশ গুম হয় না, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার- লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফ

সাংবাদিক

 

উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থীদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয়কে যেমন ভেঙে দিয়েছে, তেমনি কিছু মানুষের কল্পিত ও নির্মম অভিযোগ আমাদের বিবেককেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, যেসব সেনাসদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুনের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ উদ্ধার করছিলেন, যাদের চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক আর দায়িত্বের ছাপ—তাদের বিরুদ্ধেই আজ “লাশ গুম” করার মতো নিষ্ঠুর অভিযোগ তোলা হচ্ছে!

একটি দুর্ঘটনা মানেই অজস্র কষ্ট, একেকটি লাশ মানেই একেকটি পরিবারের ভেঙে পড়া পৃথিবী। সেই মুহূর্তে দেশবাসী যখন রক্ত দিতে ছুটে আসছে, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে—তখন কেউ কেউ ঠাণ্ডা মাথায় একটি ভয়াবহ গুজব ছড়াচ্ছে: সেনাবাহিনী নাকি লাশ লুকিয়েছে! এই অভিযোগ শুধু মিথ্যাই নয়, এটি হাজারো সেনাসদস্যের আত্মত্যাগ ও সততার প্রতি নির্মম অবমাননা।

আমরা ভুলে যাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনো দলের নয়—তারা রাষ্ট্রের, জনগণের। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে, করোনার ভয়াল দিনে, বন্যায়, আগুনে, পাহাড়ে, সীমান্তে—সবখানে ছিলেন এবং আছেন। যেদিন আমরা সবাই আতঙ্কে ঘরে থাকি, সেদিন তারাই সামনে দাঁড়ান। আজ যদি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে ‘লাশ গুম’-এর মতো হাস্যকর অভিযোগ তোলে, তাহলে বুঝতে হবে, এটি কেবল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়—রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, সংবেদনশীলতা ও মানবতার বিরুদ্ধেও এক ধরণের হিংস্র আঘাত।

আমরা চাই প্রশ্ন হোক—তদন্ত হোক—দুর্বলতা থাকলে তা দূর হোক। কিন্তু অভিযোগ যেন হয় প্রমাণভিত্তিক, যেন না হয় কোনো ইউটিউব চ্যানেল কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায়।

শোকের মুহূর্তে বিভাজনের নয়, একতার প্রয়োজন। যারা উদ্ধার করেছে, যারা মরেও দায়িত্ব পালন করেছে, যারা নিঃশব্দে আহত শিশুদের কাঁধে তুলে নিয়েছে—তাদের প্রতি আমাদের সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসাই হওয়া উচিত একমাত্র উত্তর—not slander, not suspicion.

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে, ছিল, এবং থাকবে—কারণ তারা শুধুই বাহিনী নয়, তারা এই জাতির আত্মা।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
৬১৪ Time View

যে দেশপ্রেমে লাশ গুম হয় না, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার- লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান সাইফ

আপডেটের সময় : ০৪:৪৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

 

উত্তরা মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থীদের মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা আমাদের হৃদয়কে যেমন ভেঙে দিয়েছে, তেমনি কিছু মানুষের কল্পিত ও নির্মম অভিযোগ আমাদের বিবেককেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক হলো, যেসব সেনাসদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আগুনের মধ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষ উদ্ধার করছিলেন, যাদের চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক আর দায়িত্বের ছাপ—তাদের বিরুদ্ধেই আজ “লাশ গুম” করার মতো নিষ্ঠুর অভিযোগ তোলা হচ্ছে!

একটি দুর্ঘটনা মানেই অজস্র কষ্ট, একেকটি লাশ মানেই একেকটি পরিবারের ভেঙে পড়া পৃথিবী। সেই মুহূর্তে দেশবাসী যখন রক্ত দিতে ছুটে আসছে, সামরিক ও বেসামরিক বাহিনী যখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে—তখন কেউ কেউ ঠাণ্ডা মাথায় একটি ভয়াবহ গুজব ছড়াচ্ছে: সেনাবাহিনী নাকি লাশ লুকিয়েছে! এই অভিযোগ শুধু মিথ্যাই নয়, এটি হাজারো সেনাসদস্যের আত্মত্যাগ ও সততার প্রতি নির্মম অবমাননা।

আমরা ভুলে যাই, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কোনো দলের নয়—তারা রাষ্ট্রের, জনগণের। তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে, করোনার ভয়াল দিনে, বন্যায়, আগুনে, পাহাড়ে, সীমান্তে—সবখানে ছিলেন এবং আছেন। যেদিন আমরা সবাই আতঙ্কে ঘরে থাকি, সেদিন তারাই সামনে দাঁড়ান। আজ যদি কোনো স্বার্থান্বেষী মহল তাদের বিরুদ্ধে ‘লাশ গুম’-এর মতো হাস্যকর অভিযোগ তোলে, তাহলে বুঝতে হবে, এটি কেবল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়—রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, সংবেদনশীলতা ও মানবতার বিরুদ্ধেও এক ধরণের হিংস্র আঘাত।

আমরা চাই প্রশ্ন হোক—তদন্ত হোক—দুর্বলতা থাকলে তা দূর হোক। কিন্তু অভিযোগ যেন হয় প্রমাণভিত্তিক, যেন না হয় কোনো ইউটিউব চ্যানেল কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায়।

শোকের মুহূর্তে বিভাজনের নয়, একতার প্রয়োজন। যারা উদ্ধার করেছে, যারা মরেও দায়িত্ব পালন করেছে, যারা নিঃশব্দে আহত শিশুদের কাঁধে তুলে নিয়েছে—তাদের প্রতি আমাদের সম্মান, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসাই হওয়া উচিত একমাত্র উত্তর—not slander, not suspicion.

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আমাদের আস্থা আছে, ছিল, এবং থাকবে—কারণ তারা শুধুই বাহিনী নয়, তারা এই জাতির আত্মা।