দেশে প্রয়োজনীয় রক্তের চাহিদা মেটাতে মানসিক অচলায়তন ভাঙতে হবে। বিত্ত বৈভব নয়, রক্তদানের জন্যে প্রয়োজন সেবার মানসিকতা। এমন ভালো কাজে গঠনমূলক প্রচেষ্টা এ চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান।
তিনি আরো বলেন, ‘স্বেচ্ছা রক্তাদাতারা রক্তদানের মাধ্যমে তৃপ্তির আলোয় অন্যের জীবনকে আলোকিত করেন। একজন মুমূর্ষু মানুষকে নতুন করে জীবনের স্বাদ দেয়ার মাধ্যমে তারা আসলে দেয়ার আনন্দটা লাভ করছেন। তারা সাহসী, তারা উদার।’
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার রক্ত দানকারী ৩৩৪ জন লাইফ লং, ১০ বারের ৬১ জন সিলভার, ২৫ বারের ১৪ জন গোল্ডেন এবং ৫০ বারের প্লাটিনাম ক্লাবের একজনসহ মোট ৪১০ জন স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান।
এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন দেশের পক্ষে দুইবারের স্বর্ণপদক জয়ী শ্যুটার আসিফ হোসেন খান ও রক্তদাতা খাদিজা আক্তার ফালগুনী।
নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ফারহান তানভীর। স্বেচ্ছা রক্তাদাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি রক্তের চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান আলোচকরা।
অনুষ্ঠানে রক্তদাতাদের হাতে আইডি কার্ড, সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন অতিথিরা।
উল্লেখ্য, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই নিয়মিত এমন মূল্যায়নের আয়োজন করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। ২০০০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত কোয়ান্টাম প্রায় সাড়ে ৪ লাখ ডোনারের দেয়া সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি রক্ত ও রক্ত উপাদান সরবরাহ করেছে ।
আমাদের দেশে প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ লাখ ইউনিট রক্তের চাহিদা রয়েছে। কোয়ান্টাম এ চাহিদার আট ভাগের এক পূরণ করতে পারছে।বাসস