বাংলা শিল্প সাহিত্যের সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত কুষ্টিয়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির কার্যক্রম চালু হয়েছে। ১১ আগস্ট, ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বইপড়া কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান আলী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয় আজ আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো আলোকিত প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সারা বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ চাই শ্লোগানে বইভর্তি একটি সাদা কাচের গাড়ি বই প্রেমী মানুষদেরকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে নিয়মিত। কুষ্টিয়া শহরের মধ্যেও মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে এই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরির কার্যক্রম। শিক্ষার্থীদেরকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে এসে বই পড়ার প্রতি যে প্রয়াস বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তৈরি করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ও এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে এটি অবশ্যই একটি ভালো দিক। আমরা যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়েে সঙ্গে যুক্ত আছি বিভিন্নভাবে, তাদেরকে বলবো আপনারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেকে আলোকিত করুন বিশ্ববিদ্যালয়কে আলোকিত করুন।
রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহুরুল ইসলামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. ইসমত আরা খাতুন, ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর নূর উদ্দীন আহমেদ, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য মো. মনিরুজ্জামান ও মো. জুলফিকার আলী এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং প্রক্টর এস এম হাসিবুর রশিদ তামিম। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি কার্যক্রমের কুষ্টিয়া আঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রমোশন অফিসার মো. ইমাম মেহেদী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।