লোকমান আনছারী রাউজান প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে পালিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ।কোরবানি ঈদকে ঘিরে রাউজান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খামার এবং মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পশু বিক্রি করা শুরু করেছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পশু সংগ্রহ করে মজুদ করেছে। পিছিয়ে নেই ক্ষুদ্র খামারিরাও।রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার ছোট বড় ৪৩৪টি খামারে ৩৮ হাজারেরও বেশি গরু, ছাগল, মহিষ, বেড়া প্রস্তুত করেছে খামারিরা। পাশাপাশি কৃষকরাও নিজেদের গৃহে গরু,ছাগল মোটাতাজা করে রেখেছেন। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এবার ভালো দামে পশু বিক্রির আশায় আছেন এখানকার খামারি ও কৃষকরা।পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানীর পশু হাট বসে। কোরবানীর পশুর হাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশী গরু কেনাকাটা হয় রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গফুর আলী বোস্তামী চারা বটথল বাজার, গহিরা কাল চান্দ চৌধুরী হাট, পাহাড়তলী পিংক সিটি, বাগোয়ানের লাম্বুর হাট, খেলার ঘাট, নোয়াপাড়া চৌধুরী হাট,উরকির বৈজ্জাখালী গেইট বাজারে।রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নে অবস্থিত রাকিব এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী রাজু সওদাগর বলেন,বিগত ২০ বছর ধরে আমি এ খামার করছি ।বর্তমানে আমার খামারে ৩০ টি ছোট-বড় গরু এবং ২টি মহিষ রয়েছে। আশা করছি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে এবার লাভবান হবো ইনশাল্লাহ। ইতোমধ্যে আমি ১টি মহিষ ভালো দামেই বিক্রি করেছি।রাউজান উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, রাউজানে ৪শত ৩৪ টি ছোট বড় খামারে ৩৮ হাজারেরও বেশি কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা উপজেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে আসেন বিধায় কোরবানি যোগ্য পশুর অভাব হবেনা আশা করছি।ডেইরী ফার্মে লালন পালন করা গরু ও কোরবানীর জন্যবিক্রয়করবে ডেইরী ফার্মের মালিকরা। এছাড়া ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আনা গরু ব্যবসায়ীরা বিক্রয় করা শুরু করেছে । রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় কোরবানীর জন্য ক্রেতারা গরু ক্রয় করছে প্রতিদিন। ধীরে ধীরে কোরবানীর পশুর বিক্রি শুরু বৃদ্ধি পাচ্ছে।