ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ধোলাইখাল, মাতুয়াইল, গাবতলী ও উত্তরায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর একাধিক স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও শ্যামলীতে পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি বাস ভাংচুর করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাতুয়াইল এলাকায় তিশা ও স্বদেশ পরিবহন কোম্পানির দুইটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিলেও সে আগুন কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। এ ছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীরা আরও কয়েকটি বাসে আগুন লাগানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় তা পারেনি।
ডিএমপির ওয়ারি জোনের ডিসি জিয়াউল আহসান তালুকদার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চেষ্টা চলছে নিয়ন্ত্রণে আনার।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে মাতুয়াইলে একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের খবর আমরা পেয়েছি। খবর পেয়ে আমাদের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। কারা অগ্নিসংযোগ করেছে বা ঘটনায় কোনো হতাহত আছে কি না, এই তথ্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এর আগে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মাতুয়াইলে পুলিশ ও বিএনপিকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিএনপি নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল ছোড়ে।
সংঘর্ষের কারণে বিভিন্ন গন্তব্যে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ব্যস্ত এ মহাসড়কে দুপুর ১টার পর যান চলাচল কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে।
এ সময় মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও যুবদল নেতা সাগর প্রধানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা পুলিশের শাফিউল ইসলাম নামে এক কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে