ঢাকায় একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ চলছে। শুক্রবার সমাবেশ ঘিরে রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল কম দেখা গেছে। যাত্রীদের সংখ্যাও অন্যদিনের থেকে কম ছিল। তবে জরুরি প্রয়োজনে যারা ঘরের বাইরে বের হয়েছেন তারা বাস-সিএনজি সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন। দুপুরের পর বৃষ্টিতে আরও ভোগান্তি বেড়ে যায়।
এ দিন সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক বন্ধ থাকায় অনেককে ভোগান্তিতেও পড়তে হয়েছে। প্রেসক্লাবেও একই অবস্থা।
দুপুর ১২টায় রাজধানীর কাজীপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলি, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, পল্টন, গুলিস্তান, মহাখালী সড়কে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ সড়কে বাস কম। কোনো কোনো সড়কে বাস চললেও যাত্রী নেই।
বাংলামোটর বাসস্টান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোহেল রহমান। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় বাস খুব কম। মানুষও কম। শুনেছি সমাবেশ, তাই বাস নেই।’ ফার্মগেট মোড়ে অন্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল কম। বৃষ্টিতে আটকে আছেন অনেকে।
পল্টন মোড়ে কয়েকজন জানান, ঢাকায় মিছিল-মিটিং হলে যানজট হতে দেখেছি। কিন্তু আজ গাড়ি কম। বৃষ্টি হওয়ার পর সিএনজিতে ডাবল ভাড়া চাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বেলা দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিএনপির মহাসমাবেশ। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ছয়দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চসহ ৩৭টি দলও আজ একই দাবিতে পৃথকভাবে সমাবেশ করছে।
এদিকে, রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয় শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে।