আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী প্রতিনিধি) :- শিক্ষানগরী রাজশাহীতে কাগজ, খাতা, কলম ক্যালকুলেটারসহ বেড়েছে সব ধরনের শিক্ষা সামগ্রীর দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে বাড়তি টাকায় পণ্য কিনতে হচ্ছে তাদের।
রাজশাহীর শিক্ষা উপকরনের দোকান ঘুরে দেখা যায় ডজন প্রতি কলমের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। মান ভেদে বিভিন্ন ধরনের তৈরি খাতার দাম বেড়েছে পিস প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। অফসেট পেপার বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩২০ টাকায় । প্রকার ভেদে প্রতি রিম কাগজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৮০ টাকায়। সাধারণ ক্যালকুলেটার রকম ভেদে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা । সাইন্স ক্যালকুলেটর ১২৫০ থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫০ টাকায়। দাম বেড়েছে জ্যামিতি বক্সেরও। ফটোকপির দাম বেড়েছে পিস প্রতি ৩০ পয়সা।
কাগজ, খাতা, পেন্সিল, ব্যবহারিক খাতা, মার্কার, স্কুল ফাইল, অফিস ফাইল, বাচ্চাদের লেখার স্লেট, ক্যালকুলেটর, সাদা বোর্ড, জ্যামিতি বক্স, টালি খাতা, কলম বক্স, স্কেল, কালিসহ ১০০ টা শিক্ষা সামগ্রীর মধ্যে দাম বেড়েছে প্রায় ৭৫ টির।
বিভিন্ন বইয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, একাডেমিক বইসহ সব ধরনের বইয়ের দামও বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
দোকানিরা বলছেন,কাগজের দাম বাড়ার কারনে বেড়েছে খাতা ও বইয়ের দাম। তাছাড়া বেশি দামে কেনার কারনে বিক্রিও করতে হচ্ছে বাড়তি দামে।
তারা আরো বলেন, হঠাৎ শিক্ষা সমাগ্রীর দাম বাড়ায় ক্রেতাদের বোঝাতে বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা সামগ্রীর দাম বাড়ায় আমরা পড়েছি ভোগান্তিতে কারণ আমাদের রোজগার নেই কিন্তু বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে শিক্ষা সামগ্রী। এছাড়াও পাঠ গ্রহণের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন রেফারেন্স বুক ও নোট ফটোকপি করতে হয়। গত এক মাসে বেড়ে গেছে ফটোকপি ব্যয়।
অপরদিকে সকল ধরনের শিক্ষা সামগ্রীসহ নিত্য পণ্যের দাম বাড়ায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষার ব্যায় ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছে।
ফটোকপির দোকানদাররা বলেন, কালি ও কাগজের দাম বাড়ায় নিরুপায় হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে আমাদের।
এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপের এরিয়া ম্যানেজার জানান, কাগজের পাল্প আনতে হয় বিদেশ থেকে এছাড়া ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বেড়েছে প্রোডাকশন খরচ আর তাই বাড়াতে হচ্ছে কাগজের দাম।