আজ রাতেই আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নেয়ার ঘোষণা দিয়ে হলে ফিরেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৭ জুলাই) পবিত্র আশুরা থাকায় তারা আলোচনার পর কর্মসূচি নেবেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি চত্বরে এ ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কিভাবে সংকোচিত, শঙ্কিত, বিব্রত ও ভয়ের মধ্যে রয়েছেন তা আপনারা আজ দেখেছেন। আমরা ট্রেনিংপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী নই। শিক্ষার্থীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে তারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এই ট্রেনিংপ্রাপ্ত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থী, যারা টেবিলে-লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করেন, তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভীত। তারা (সন্ত্রাসী) ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব তৈরি করেছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ভয়ের পরিবেশ নিরসনে আমাদের শিক্ষক এবং উপাচার্যের দায়িত্বের সমালোচনা করি। তিনি আমাদের অভয় ও নির্ভয় দিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। এমনকি আমাদের প্রক্টরও অভয় দিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি। তাদের শ্মশান সমান নিস্তব্ধতা আমাদের আরও ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আর কোনো মহলের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু এ যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ যেভাবে মধ্যযুগীয় বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে টোকাই, বহিরাগত ও যুবলীগকে নিয়ে এসে, আমরা এতে ভীত-সন্ত্রস্ত। আমরা নিরাপত্তা চাই।
তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের যে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি ছিল, তা আমরা সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। কিন্তু এ বিক্ষোভ মিছিলে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাস দিয়ে টোকাই এনে ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আগামীকালও আমাদের কর্মসূচি থাকবে। কিন্তু আগামীকাল পবিত্র আশুরা থাকায় আমরা আলোচনা করে রাতে এ বিষয়ে জানাব।
এর আগে জগন্নাথ হল থেকে সরে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বরে আসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারপর সেখান থেকে যে যার মতো হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা। আগের মতোই টিএসসিতে অবস্থান করছে ছাত্রলীগ। আর মিশুক-মনির চত্বর থেকে সরে এসে ভিসি চত্বরে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।