রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নমুনা হিসেবে আনা ৫০ লিটার অপরিশোধিত তেল পরীক্ষা করছে সরকার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাশিয়ান তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জারুবেঝজনেফ জেএসসি তাদের স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে সপ্তাহখানেক আগে আনা এই নমুনা তেল চট্টগ্রামে ইস্টার্ণ রিফাইনারিতে (ইআরএল) পৌঁছে দেয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, এই তেল রিফাইনারিতে পরীক্ষা করতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ। সে অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই এই তেলের মান, ব্যবহারের উপযোগীতা ও প্রাসঙ্গিক খরচ সম্পর্কে জানা যেতে পারে।
এই বিষয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরেই রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধিরা আমাদের কাছে নমুনা তেলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। আমাদের ল্যাবে এই তেল পরীক্ষা করে ফলাফল বের হতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। সেই হিসেবে আগামী বৃহস্পতিবার বা শনি-রোববার পেয়ে যাওয়ার কথা।’
এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জারুবেঝজনেফ জেএসসির পাঠানো ৫০ লিটার অপরিশোধিত তেল বিমানে ঢাকায় পৌঁছে। চট্টগ্রামে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই তেল আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি)।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়। ইতোমধ্যে দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের তেলসমৃদ্ধ বিভিন্ন দেশ থেকে কম মূল্যে তেল আমদানির চেষ্টা শুরু করে সরকার।
সংকটময় পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার চীন, ভারতসহ কয়েকটি দেশ তেল নিচ্ছে রাশিয়া থেকে। গত মে মাসে বাংলাদেশকেও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব দেয় দেশটি। তবে রুশ তেল দেশে ব্যবহার-উপযোগী নয় বলে প্রথম দফায় তা নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ান তেলে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকায় তা পরিশোধন করতে হয়। এতে খরচ বেশি পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবুও নমুনা হিসেবে নিয়ে আসা ৫০ লিটার তেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খরচের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।