গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব। তবে রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে দেওয়া এসব নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, অর্থনৈতিক সংকটের মাধ্যমে রাশিয়ার অভ্যন্তরে যুদ্ধকে অজনপ্রিয় করে তোলার জন্য পরিকল্পিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার মূলত রুশ ধনকুবেরদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। তাদের প্রমোদতরী ও বিলাসবহুল সম্পদসহ তাদের মিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার মধ্যে পুতিন অন্তত এখনকার মতো তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক ধাক্কা রোধ করতে সফল হয়েছেন বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।
যদিও রাশিয়ার যেসব ধনকুবেররা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন তাদের মধ্যে একটু বিরূপ মনোভাব থাকলেও তা পুতিনকে মত পরিবর্তন করানোর মতো যথেষ্ঠ ফেলবে না বলেই গোয়েন্দা সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন বলে ওই সূত্রগুলো জানিয়েছে।
রাশিয়ার জনমতের নাটকীয় পরিবর্তন হলেও ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধ শেষ করতে রাজি হবেন কী না তা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সন্দেহ প্রকাশ করছেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, পুতিন জনমতের ছোট পরিবর্তনের ব্যাপারেও গভীরভাবে সংবেদনশীল। তবে প্রতিবাদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন এবং গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা তাকে যেকোনো উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় উত্থান থেকে বিরত রেখেছে।
পুতিন রাশিয়ায় তার নিয়ন্ত্রণকে সুদৃঢ় করেছে– যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিশ্বাসই প্রতিফলিত হয়েছে এই মূল্যায়নে।
ওই সূত্রগুলো সিএনএনকে জানায়, কোথায় আক্রমণ চালান হবে এবং এসব আক্রমণ থেকে কী লক্ষ্য অর্জিত হবে সে ব্যাপারে পুতিন সরাসরি সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করেন।