(নোয়াখালী প্রতিনিধি -মোহাম্মদ শহিদ)
রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পেলেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পুলিশ বিভাগের কার্যক্রমে দক্ষতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা, পেশাগত দায়িত্ব পালনে দক্ষতা, কর্তৃব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্যে তাঁকে এই পদক দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ছয় দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে এই পদক পরিয়ে দেন।মো. শহীদুল ইসলাম ২০২১ সালের ১ আগস্ট নোয়াখালীর পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।
তিনি রংপুর সদর উপজেলার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। শিক্ষা জীবনে তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে ২০০১ সালে স্নাতক ও ২০০৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষে ২৫ তম বিসিএস (পুলিশ ক্যাডারে) ২০০৬ সালে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেন।
তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে নোয়াখালী জেলায় যোগদানের পর থেকে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজে হাত নেন। পুলিশ লাইন্সের মেসের খাবারের মান উন্নয়ন, মানসম্মত কেন্টিন, পুলিশ লাইস্থ ভবনগুলো মেরামত কাজসহ পুলিশ লাইন্সে আলোকসজ্জা করে দৃষ্টিনন্দন করেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নোয়াখালী জেলার জনগণের নিকট তিনি ঘনিষ্ট হয়ে যান তার কাজের মাধ্যমে। বিভাগীয় কার্যক্রমের বিত্তের বাইরেও রয়েছে তাঁর নানাবিধ সামাজিক কর্মদ্যোগ।
তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণপূর্বক দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
পুলিশ সুপার নোয়াখালী দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এআইজি (ইক্যুইপমেন্ট-২) এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পরিচালক, অফিসার্স মেস, ঢাকার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
পেশাগত জীবনে তিনি দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সহিত সম্পন্ন করেছেন। তিনি তার চাকুরী জিবনের সততা ও সাহসীকতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৯ সালে পিপিএম পুরুস্কারে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি ৩ টি আইজিপি ব্যাজও প্রাপ্ত হন।