বিভিন্ন ব্যক্তির ওয়ালে ভাসছে রুপনা চাকমার জীর্ণ কুটিরের চিত্র। অচিরেই সেটা নতুন রূপ পাচ্ছে। সাফজয়ী নারী দলের গোলরক্ষকের ঘর নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বুধবার সকালে বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমার বাড়ি গিয়েছিলাম। রুপনা চাকমার বাড়ির অবস্থা বেশ নাজুক। তাদের একটা ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি আমি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী রুপনাদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমার পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা উপহারসামগ্রী নিয়ে যান জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তা। এসময় দুই ফুটবলারের পরিবারের সদস্যদের হাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
উপহার পেয়ে আপ্লুত ঋতুপর্ণা চাকমা কৃতজ্ঞতা জানান নিজের ফেসবুক ওয়ালে। নেপাল থেকে মঙ্গলবার যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কী বলে যে শুরু করব, ভাবতে পারছি না। অসংখ্য ধন্যবাদ রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান স্যারকে। আমি কল্পনা করতে পারিনি, আপনি নিজে বাসায় গিয়ে এত সুন্দর উপহার এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করবেন।’
নিজের উঠে আসার পেছনে যাদের অবদান ছিল, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ওই পোস্টে পার্বত্য অঞ্চলবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা। ভবিষ্যতেও সবাইকে এভাবে পাশে চেয়েছেন সদা হাস্যোজ্জ্বল এই ফুটবলার।
ফাইনালে দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করে বাংলাদেশ দুর্গ অক্ষত রাখেন রুপনা। পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক গোল হজম করেছেন এ গোলরক্ষক। স্বীকৃতি হিসেবে তার হাতে উঠেছে প্রতিযোগিতার সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার। অন্যদিকে দলকে ফাইনালে তুলে আনার পথে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান ও সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা।