তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সফররত আয়ারল্যান্ডকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে গড়েছে রেকর্ডও। ওয়ানডেতে এর চেয়ে বেশি রানে জেতেনি টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনারের কল্যাণে ভালো সূচনা পায় সফররত আয়ারল্যান্ড। অতপর সেই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। আর নিজের টানা দুই ওভারে দুই ব্যাটারকে ফেরালেন ইবাদত। এর মাঝেই নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন তাসকিনও। স্টেফেন দোহেনি ৩৪, পল স্টার্লিং ২২, হ্যারি টেক্টর ৩ ও বালবির্নি ৫ রান করেন।
এরপর নাসুমের ঘূর্ণিতে নাকাল হয়ে পড়ে আইরিশরা। হারাতে থাকে একের পর এক উইকেট। লরকান টাকার ৬, কুর্তিস ক্যাম্ফের ১৬, গ্যারেথ ডেলানি ১ ও শূন্যরানে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, ১৩ রানে মার্ক আদায়ের ও ৪৫ রানে জর্জ ডকরেল আউট হন। আর ২ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রাহাম হুম।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন ইবাদত হোসেন। তিনটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। এছাড়া তাসকিন আহমেদ দুটি ও সাকিব আল হাসান একটি উইকেট নেন।
এর আগের ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আইরিশ দলনেতা অ্যান্ডি বালবির্নি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন দলনেতা ও ওপেনার তামিম ইকবাল খান। তার ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩ রান। আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস করেন ২৩ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দারুণ ব্যাট করে যাচ্ছিলেন সাকিব-শান্ত। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। ম্যাকব্রিনের করা বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ২০ রানে।
পরের উইকেটে খেলতে নামেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। তাকে নিয়ে আইরিশ বোলারদের রীতিমতো শাসন করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ১৩৫ রানের জুটি। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দুজনেই ফিফটির দেখা পান। সাকিব চলে যান সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু গ্রাহাম হুমের করা বলে ৯৩ রানে ফেরেন সাকিব।
এরপর মুশফিক-হৃদয় মিলে ক্রিজে ঝড় তোলেন। মাত্র ৪৯ বলে দুজনে গড়েন ৮০ রানের জুটি। হৃদয় সেঞ্চুরির পথে ও মুশফিক ছুটছিলেন অর্ধশতকের পথে। কিন্তু কেউ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। গ্রাহাম হুমের এক ওভারে ফিরেছেন দুজনই। মাত্র ২৬ বলে ৪৪ রানে মুশি ও ৮৫ বলে ৯২ রানে আউট হন হৃদয়। এরপর তাসকিন ১১, ইয়াসির ১৭, নাসুম ১১ ও মোস্তাফিজ ১ রানে করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৮ (তামিম ৩, লিটন ২৬, শান্ত ২৫, সাকিব ৯৩, হৃদয় ৯২, মুশফিক ৪৪, ইয়াসির ১৭, তাসকিন ১১, নাসুম ১১*, মুস্তাফিজ ১*; অ্যাডায়ার ১০-০-৭৭-১, হিউম ১০-০-৬০-৪, ম্যাকব্রাইন ১০-০-৪৭-১, ক্যাম্পার ৮-০-৫৬-১, ট্যাক্টর ৬-০-৪৫-০, ডেলানি ৬-০-৫০-০)।
আয়ারল্যান্ড: ৩০.৫ ওভারে ১৫৫ (ধোয়েনি ৩৪, স্টার্লিং ২২, বার্লবার্নি ৫, ট্যাক্টর ৩, ক্যাম্পার ১৬, ডকরেল ৪৫, ডেলানি ১, ম্যাকব্রাইন ০, অ্যাডায়ার ১৩, হিউম ২*; মুস্তাফিজ ৬-০-৩১-০, তাসকিন ৬-২-১৫-২, নাসুম ৮-০-৪৩-৩, সাকিব ৪-০-২৩-১, এবাদত ৬.৫-০-৪২-৪)।
ফল: বাংলাদেশ ১৮৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: তৌহিদ হৃদয়।