বর্তমানের যুগ গ্লোবালাইজাশনের যুগ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত কর্মক্ষেত্র বাড়ছে। প্রবাসীরা তাতে কাজ করে উৎপাদনশীলতা বাড়াচ্ছেন। বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও গ্রুপ চ্যাটে একসাথে অনেকের সাথে কথা বলা যায়। ব্যবসার জন্য বাইরে ভ্রমণ করা ব্যাক্তিরাও ভিডিও কলে তার পরিবারকে দেখতে পাচ্ছেন।
এটা শুধু কমিউনিকেশনেই নয়। আমরা বর্তমানে বাড়িতে থেকে সীমান্তের ওপারে ব্যবসা করছি কনফারেন্সে যোগ দিচ্ছি।
তাই প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোর (রেমিটেন্স) পদ্ধতিটাও সহজ হওয়া উচিত। কিন্তু এটি সবসময় সহজ হয় না। নিচে সহজ উপায়ে অর্থ পাঠানোর সম্পূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হল।
দেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত ৪ টি বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত প্রবাসীদের।
১. একটি ভাল প্রোভাইডার পছন্দ করুন:
অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন থাকে প্রবাসী। তাই অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে এমন একটি ব্রান্ডকে পছন্দ করা উচিত। যাতে আপনি ভরসা করতে পারেন। এখানে ব্যাংক খুব ভাল প্রোভাইডার, কিন্তু ব্যাংক ছাড়াও আরও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠাও রয়েছে।
যেমন: এইচএসবিসি ব্যাংকের শাখা সারা পৃথিবীতেই আছে। তাই এই ব্যাংকের মাধ্যমে আপনি সহজেই অর্থ পাঠাতে পারেন।
ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে নিরাপদে অর্থ পাঠানো যায়। এর মাধ্যমে খুব সহজেই অর্থ আপনি নিজ দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করতে পারবেন।
এইচএসবিসি তে প্রতি ২০ সেকেন্ড পরপর এক্সচেঞ্জ রেট আপডেট করা হয়। তাই ব্যাংকে আপনি সটিক অর্থটি পাবেন।
অনলাইনে অর্থ এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে ৮ ডলার ফি প্রদান করতে হবে এবং টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ২০ ডলার প্রদান করতে হবে।
২. যেকোন ধরনের ফি লক্ষ্য করুন:
টাকা পাঠাতে ফি প্রদানের ক্ষেত্রে দুটি নিয়ম আছে। একটি হল ডিরেক্ট ফি অথবা বৃদ্ধিরত এক্সচেঞ্জ রেট, আরেকটি হল পাঠানোর ক্ষেত্রে এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাংক ফি।
এই ফিগুলো অবশ্যই প্রদান করতে হয়। তাই আপনার সুবিধা মতো আপনি যেকোন পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন।
৩. সঠিক তথ্য থাকা
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনি কোথা থেকে অর্থ পাঠাচ্ছেন এবং কোথায় পাঠাচ্ছেন। আপনি যেকারনেই অর্থ পাঠান না কেন, পাঠানোর আগে আপনার সঠিক তথ্য থাকতে হবে। এটি সাধারনত বিএসবি বা অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট খোলার মত নয়, অর্থ পাঠানোর আগে আপনার কোম্পানি (যেখানে আপনি কাজ করেন) থেকে একটি সুইফট কোড গ্রহণ করতে হবে।
এছাড়া অর্থ পাঠানোর আগে আপনার প্রোভাইডার সম্পর্কে সব ধরণের সঠিক তথ্য গ্রহন করুন। প্রোভাইডারের এক্সট্রা ফি এবং সময় সম্পর্কে সঠিক তথ্য গ্রহন করুন।
৪.অর্থ এক্সচেঞ্জ রেট জানা:
এক্সচেঞ্জ রেট হচ্ছে অর্থ এক ধরনের মুদ্রা থেকে অন্য ধরনের মুদ্রায় পরিবর্তন করা। আপনার পাঠানো অর্থ এক্সচেঞ্জ রেট ব্যবহার করে আপনি নিজ দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করতে পারবেন।
সময়ের সাথে এক্সচেঞ্জ রেট কমতে ও বাড়তে পারে। যদি আপনি আপনার অর্থ ভবিষ্যতে পাঠাতে চান তাহলে আপনার অর্থের সর্বোচ্চ মূল্য পেতে এক্সচেঞ্জ রেটের ওপর নজর রাখতে পারেন।
এটি উল্লেখযোগ্য যে কিছু প্রোভাইডার ফি’র পরিবর্তে অনেক বেশি এক্সচেঞ্জ রেট গ্রহণ করে। তাই আপনি একটি ভাল এক্সচেঞ্জ রেট পেলেও, আপনার অন্যান্য ফিগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।