পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, রমজানের আগে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি আমদানির বিষয়ে সেদেশের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ভারতের রাজ্যসভার লিডার অভ দ্য হাউস এবং বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের ব্যাপারে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করি সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। রমজানের আগে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ এবং এক লাখ টন চিনি যাতে আমরা আমদানি করতে পারি সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। অন্যান্য বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।
হাছান মাহমুদ বৈঠকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা প্রত্যাহার এবং বিশেষ করে রমজান মাসে মূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পীযুষ গয়ালকে অনুরোধ করেন।
তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, সংযোগ, বিদ্যুৎ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পানি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এ সাক্ষাৎ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতের রাজধানীতে পৌঁছান ড. হাছান মাহমুদ। তিনদিনের এ সরকারি সফরের সমাপ্তি দিনে ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতটি ছিল আন্তরিকতাপূর্ণ।
এরপর সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাকে (ভারতের রাষ্ট্রপতি) বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং এমন একজন স্ট্রং লেডি পর পর চারবার এবং পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, সে জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কাজ করছেন সেটির সাথে সহমত পোষণ করেছেন।