রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে সামাজিক সমস্যা তৈরি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের অনেকেই মাদক ও নারী পাচারে জড়িত।
নবনিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার লিলি নিকোলস রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভবনের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘ সময়ের সমস্যা। বাংলাদেশ কত দিন এত বড় বোঝা বহন করবে!
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সরকার ভাসানচরে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দিয়েছে যেখানে তারা আশ্রয়ের উন্নত সুবিধা পাচ্ছে।
কানাডার হাইকমিশনার বলেন, কানাডা সব সময় বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান করবে। তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য দাতব্যের মাধ্যমে একটি অতিরিক্ত তহবিল তৈরি করছে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনে আনন্দ প্রকাশ করেন।
তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্যাপনেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উভয়েই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেন এবং একমত হন যে, যুদ্ধ সর্বদাই জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাসের হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
উভয়ে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, কানাডার সঙ্গে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উন্মুখ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কানাডায় প্রবাসী বৃহৎ বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী দুই দেশের মধ্যে জনগণের যোগাযোগ বাড়াতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখছেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন যে, হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেবেন এবং বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে তাকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে কানাডা বাংলাদেশকে সমর্থন করছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ চলাকালীন কানাডা সর্বদাই সহায়তা করেছে এবং মহামারির শুরু থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, কানাডার সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং সরঞ্জাম প্রদান করার জন্য কানাডাকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী কানাডার প্রশংসা করে বলেন, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে এবং কানাডা সরকারকে স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিম প্রোগ্রামে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।