অভিনয়ের পাশাপাশি লেখাপড়ায়ও নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। বুধবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়টির লন্ডন ক্যাম্পাসে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নিজের সনদ সংগ্রহ করেছেন এই অভিনেত্রী।
সেই অনুষ্ঠানের বেশকিছু ছবি ভাবনা প্রকাশ করেছেন তার ফেসবুকে। এরপর থেকেই বন্ধু-শুভাকাঙক্ষী আর ভক্তদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ‘ভয়ংকর সুন্দরী’র নায়িকা। ছবির ক্যাপশনে ভাবনা জানিয়েছেন, এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে কতটা পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তাকে।
অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুন নিজে নিজেকে বিশ্বাস করা সবচাইতে জরুরি। কেউ পাশে থাকুক না থাকুক নিজের পাশে নিজের থাকাটা জরুরি। খুবই জরুরি। আমার জীবনে আমি অনেক বার আমার মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছি। তবুও যেন পরিবারের অন্যরা সব সময় আমার মা-বাবাকে পড়াশুনা নিয়ে একটু খোঁচা কথা বলতে ছাড়তো না।
‘কারণ মেয়ে নাচ করে ,অভিনয় করে ,পড়াশুনা তো আমাকে দিয়ে হবেই না। আমার মা-বাবা আমাকে জীবনে কোনোদিন ক্লাসে ফার্স্ট হওয়ার জন্য বলেনি। আমার সব কিছুতেই আমার মা-বাবা পাশে ছিল সবসময়। যতবার আমি হেরে যাই, আম্মু-আব্বু আমাকে সাহস দেয়। আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না। অনেক কাজ মিস হয়েছে, অনেক কঠিন হয়েছে।’
‘স্পেশালি এই করোনার সময়, তবুও আমি লেগে ছিলাম শুটিংয়ের সময় ও অনলাইনের ক্লাস মিস করিনি। আমার মা-বাবা, আমার বোন যাদের কারণেই আমার মনে হয়েছে পড়তে হবে। আমার বোন না থাকলে যে আমার কী হত, আমি ভাবি মাঝে মাঝে। আমার ‘লন্ডন স্কুল অব কমার্স, ঢাকার সকল শিক্ষকেরা, যাদের জন্য আমার লেখাপড়ার পথ সোজা হয়েছে।’
‘তবে আমি তাদেরকে বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমাকে জাজ করে, যারা আমাকে ছোট করে কথা বলতে ভোলে না, যারা আমাকে টেনে ফেলে দিতে চায়, যাদের আমাকে দেখলে অনেক হাসি পায়। আমি সত্যি আপনাদের বেশি ভালোবাসি। আপনাদের কারণেই আমি চলতে থাকি নিজের মত করে। আমি শুধু এতটুকু বলব, আমার লেখাপড়া কেবল শুরু। আরও অনেক কাজ করতে চাই। একটি দিনও আমি বসে থাকতে চাই না। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’