তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, বৈঠকে এমন বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি যা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। তবে যেটা ইউক্রেনিয়ানরা কাগজে-কলমে কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছে, যা ইতিবাচক।খবর বিবিসির।
তিনি আরো বলেন, ক্রিমিয়া ‘রাশিয়ার অংশ’ এবং রাশিয়ার কোনো ভৌগলিক অঞ্চল নিয়ে কোনো পক্ষের সাথে কোনো ধরণের মীমাংসা আলোচনা রাশিয়ার সংবিধানে নিষিদ্ধ।
ইস্তাম্বুলে তিন ঘণ্টার বৈঠকে ইউক্রেন লিখিতভাবে যেসব প্রস্তাব রাশিয়াকে দিয়েছে, সেগুলো হলো-
ইউক্রেন একটি ‘নিরপেক্ষ এবং পারমাণবিক অস্ত্র-মুক্ত’ একটি দেশ হবে যেখানে বিদেশি কোনো সামরিক ঘাঁটি বা সেনাদল থাকবে না। এর বদলে ইউক্রেনের নিরাপত্তার ব্যাপারে শক্ত আইনি গ্যারান্টি দিতে হবে।
ইউক্রেনের ওপর কোনো হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, তুরস্ক, ফ্রান্স, কানাডা, ইটালি, পোল্যান্ড এবং ইসরায়েলের মত দেশগুলোকে ইউক্রেনের নিরাপত্তায় এগিয়ে আসতে হবে ।
যে কোনো হামলা শুরুর তিনদিনের মধ্যে এসব দেশকে বৈঠকে বসতে হবে এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তায় রক্ষায় অংশ নিতে হবে। ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ঢুকতে দিতে হবে।
ন্যাটো জোটে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ২০১৯ সালে ইউক্রেনের সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছে, ফলে এতে কোনো পরিবর্তনে কয়েক মাস সময় লাগবে।
আলোচনার মাধ্যমে ক্রিমিয়ার সার্বভৌমত্ব নির্ধারিত হতে হবে, এবং সেই আলোচনা ১৫ বছর ধরে চলতে পারে। কিয়েভ বলেছে এই সময়ে এই সংকট নিরসনে কোনো সামরিক ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা।
ডনবাস অঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মধ্যে মুখোমুখি কথা হতে হবে।
ইউক্রেনের ভূমি থেকে সব রুশ সৈন্যকে চলে যেতে হবে।