:: নিজস্ব প্রতিবেদক ::
একাত্তরের স্বাধীনতা বিরোধী শান্তি কমিটির সদস্যের ছেলে এস এম আমিরুজ্জামান লেবু আবারো শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেরপুর জেলা প্রশাসশক বরাবর ঝিনাইগাতী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক জমা দেয়া রাজাকার ও শান্তি কমিটির তালিকায় ১৪১ জনের নাম দেয়া হয়েছে। সেখানে এস এম আমিরুজ্জামান লেবুর পিতার নামও রয়েছে।
স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তানরা যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদে আসতে না পারে, সে বিষয়ে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারাই তা মানছেন না। অনৈতিক সুবিধা নিয়ে শেরপুর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা আমিরুজ্জামান লেবুকে আবারো ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে চাইছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকার ৩৩ নম্বরে নাম রয়েছে এস এম তমিজউদ্দিন (আরফান আলী)। ঝিনাইগাতী বাজার এলাকার এস এম তমিজউদ্দিন আরফানের সন্তানই হচ্ছেন এস এম আমিরুজ্জামান লেবু। এ সংক্রান্ত নথি আমাদের হাতে রয়েছে।
এদিকে, এস এম আমিরুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে, জমি দখল এবং মাদক ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে।
ঝিনাইগাতী আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, এস এম আমিরুজ্জামান লেবু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিরোধীদের নৌকার জন্য সুপারিশ করেছিলেন এবং সেখান থেকে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এস এম আমিরুজ্জামান লেবুকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।