আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহব-উল আলম হানিফ বলেছেন, যত দিন শেখ হাসিনার শারীরিক সক্ষমতা আছে, তত দিন তার সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পাকিস্তানি দোসরদের পশ্চিমা বন্ধুরা তৎপর। কিন্তু ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়, তা আমরা জানি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
হানিফ বলেন, আমরা চাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক; সব দল নির্বাচনে আসুক। পরাজিত দল সব সময় নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পরাজিত দল নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করে। শেখ হাসিনা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক চান। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না আসলে তার দায়ভার আমাদের না। দেশের মানুষের আস্থা শেখ হাসিনার ওপর রয়েছে, তা বিশ্ববাসীও জানে।
তিনি বলেন, বিএনপি কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের দল ছিল না। জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। ঘটনাচক্রে জিয়া মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হয়েছে। যা প্রমাণ হয়েছে পঁচাত্তরের পর। কারণ তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করেছেন। জামায়াত ইসলামীকে তিনি রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছেন। জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল বললেন, এমন বাংলাদেশ আমরা চাই না। তাহলে আপনারা কোন বাংলাদেশ চেয়েছেন। আপনার বাবা রাজাকার ছিল। আপনার বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। এই স্বাধীন বাংলাদেশ তো আপনারা চাননি। তারেক রহমান রাজনীতি করে উঠে আসেনি। তিনি লন্ডন থেকে টেক ব্যাক বাংলাদেশ স্লোগান দিয়েছেন। আমাদের প্রশ্ন, কোথায় নিতে চান বাংলাদেশকে? তারেকের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক গুণাবলি নেই। আমি মির্জা ফখরুলকে বলেছি, ক্ষমতায় যাওয়ার পর কী করবেন তার আগে ভাবুন ক্ষমতায় থাকার সময়ে কী করেছেন। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল প্রমাণ করে বাংলাদেশ এখন কোথায়। এখন মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলার। এতেই বোঝা যায় বাংলাদেশ এখন কোথায়।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্যাঙ্কিংয়ে আসতে পারছে না। এরপরও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশ্বমানের গবেষক বের হচ্ছে, এটি গর্বের বিষয়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু আমাদের যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চলুন, তার হাতকে শক্তিশালী করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, সংগঠনের সদস্যসচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ প্রমুখ। সমাপনী বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ এ মামুন।