গুজরাট টাইটান্সকে হারাতে শেষ ৬ বলে ২৯ রান করতে হতো কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। বাস্তবিক অর্থে যা প্রায় অসম্ভব। সেই অসম্ভব কাজটিই করে দেখালেন রিঙ্কু সিং। ২০৫তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দেন উমেশ। বাকি কাজটুকু দায়িত্ব নিয়ে করেন রিঙ্কু। তার শেষ ৫ বলে ৫ ছক্কায় নাটকীয়ভাবে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে কলকাতা।
এদিন টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেট খরচায় ২০৪ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে ২৪ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন বিজয় শঙ্কর।
জবাবে নড়বড়ে শুরুর পর ভেঙ্কেটেশ আয়ারে ঘুরে দাঁড়ায় কলকাতা। ৪০ বলে ৮৩ রান করেন সাজঘরে ফেরার আগে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান আয়ার। ১৬ তম ওভারে এসে চলতি আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিকে ম্যাচ নিজেদের দিকে হেলায় গুজরাট অধিনায়ক রশিদ খান।
আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন এরপর শার্দুল ঠাকুর—ইনিংসের ১৬ তম ওভারে এসে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে কলকাতাকে ধসিয়ে দিয়েছেন রশিদ খান। হার্দিক পান্ডিয়ার অনুপস্থিতে আজ প্রথমবার নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পরেছিলেন আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক।
রশিদের হ্যাটট্রিকে ম্যাচ প্রায় হেরেই বসেছিল কলকাতা। আশার প্রদীপ হয়ে জ্বলছিল রিঙ্কু। অবশেষে তার অবিশ্বাস্য ইনিংসে ভর করেই ম্যাচ জিতে কলকাতা।