শ্যামলী এলাকার বহুতল ভবন রূপায়ণ শেলফোর্ডে লাগা আগুনে ভবনটির ১৯ তলা থেকে যে মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তার পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম রাশেদুজ্জামান।
তিনি ১৯ তলাতে থাকা ডাটা সফট নামের একটি সফটওয়্যার কোম্পানির মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে শ্যামলীর ওই ভবনে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ২টা ৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ডাকলাইন থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। ডাকলাইনে সাধারণত শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের ঘটনাগুলো হয়। নিচতলা থেকে শুরু করে সব জায়গায় ছিল। কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। ডাকলাইনটি নিচতলা থেকে শুরু করে ২০ তলা পর্যন্ত বিস্তৃত। আমরা ভবনের ১৯ তলায় বেশি আগুন পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, নিহত ব্যক্তি ধোঁয়ার ব্যাপকতার কারণেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সব ধরনের চেষ্টা করেছি তাকে বাঁচাতে। তাকে উনিশ তলায় পড়ে থাকতে দেখি। ভবন সার্চ করতে গিয়ে তাকে আমরা পাই। অগ্নি নিরাপত্তার জন্য ভবনে থাকা এক্সটিংগুইসারগুলো কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ওয়াটার রিজার্ভার থাকলেও রিজার্ভ ট্যাংকি থেকে পানি উত্তোলনের পয়েন্ট ছিল না। যেসব পয়েন্ট পাওয়া গেছে সেগুলো সবগুলোই ইনেক্টিভ ছিল। এই ভবনটিতে সেফটি প্ল্যান ছিল কিনা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে। আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে সেফটি প্ল্যান থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি।