দেশের অর্থনীতির শিরদাঁড়া ভেঙে গেলে ঠিক কী হয়, তা তো শ্রীলঙ্কাকে দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। খাবার নেই, তেল নেই— ভেঙে পড়া রাজনৈতিক কাঠামো গোটা দুনিয়ার সামনে শ্রীলঙ্কাকে একটা উদাহরণ হিসাবে এসেছে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে প্রায় এক ডজন দেশ এখন বিপর্যয়ের খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে।দেশগুলোর বৈদেশিক ঋণ, মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যা ভবিষ্যতের জন্য চরম বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। তালিকায় রয়েছে আর্জেন্টিনা, ইউক্রেন, মিশর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, এল সালভাদর, ইকুয়েডর, বেলারুশ, নাইজিরিয়া, পাকিস্তানের মতো দেশ।
সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রার। তেল আমদানির বোঝা এতটাই বেড়েছে যে সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে।
সমীক্ষায় পাকিস্তানকে নিয়ে বলা হয়েছে, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণে অবনমন হয়েছে পাকিস্তানি মুদ্রার। পাকিস্তানে তেল আমদানির বোঝা এতটাই বেড়েছে যে সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডারও তলানিতে ঠেকেছে। এই অঙ্ক এখন এতটাই কম যে আগামী পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি চালিয়ে যেতে পারবে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের রাজস্ব আদায়ের ৪০ শতাংশ ঋণের সুদ দিতেই খরচ হয়ে যায়। ফলে শাহবাজ় শরিফের নতুন সরকারকে খরচ কমাতে হবে বিরাট ভাবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথাও তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার পাশে থাকা বেলারুশকেও পশ্চিমি দুনিয়ার বিষ নজরে পড়তে হবে।