সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। দেশব্যাপী কারফিউ সত্ত্বেও ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতায় সোমবার থেকে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত আটজন, আহত হয়েছেন ২২০ জন। এ অবস্থায় সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে রাজাপাকসে সরকার।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশনা দিয়েছে লঙ্কান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নলিন হেরাথ বলেছেন, কাউকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাট বা মানবজীবনের ক্ষতি করতে দেখলে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় এক এমপির অপমৃত্যু, আরেকজনের ওপর হামলা এবং মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীসহ অর্ধশতাধিক নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের পরের দিনই এমন কঠোর নির্দেশনা দিলো লঙ্কান কর্তৃপক্ষ।
শ্রীলঙ্কার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার বিক্ষোভকারীরা কলম্বো উপকণ্ঠে সরকার দলীয় এমপি অমরাকীর্তি আথুকোরালার গাড়িতে হামলা চালালে তিনি দুজনকে গুলি করেন। এতে একজন মারা যান। এরপর সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা তাকে ঘিরে ধরেন। পরে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করেন অমরাকীর্তি।
ওই রাতে হোমগমার মহাকুম্বুরা এলাকায় সংসদ সদস্য কুমারা ওয়েল্গামার গাড়িতে হামলা চালিয়েছে একদল বিক্ষোভকারী। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই এমপি।
হামলার শিকার হয়েছেন লঙ্কান পুলিশের সিনিয়র ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (এসডিআইজি) দেশবন্ধু টেন্নাকুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার কলম্বোর গঙ্গারাম এলাকার কাছে এসডিআইজি দেশবন্ধুর গাড়ি ঘিরে ধরে একদল বিক্ষোভকারী। পরে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। এসময় পরিস্থিতি সামলাতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ ঘটনার একদিন আগেই এক এমপির পাশে দেখা গিয়েছিল দেশবন্ধুকে।
সূত্র: নিউজওয়্যার