দেশব্যাপি জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হয়েছে। জনশুমারি ত্রুটিমুক্ত ও সফল করতে দেশে এই প্রথমবারের মতো গণনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সপ্তাহব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনার উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মো. আশরাফ সিদ্দিকী বিটু জানান, বুধবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জনশুমারির জন্য মাঠ-পর্যায়ে ১৫-২১ জুনের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যা ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী, ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, ৩ হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা জনশুমারি সমন্বয়কারী এবং প্রায় ১২ জন বিভাগীয় জনশুমারি সমন্বয়কারী বিভিন্ন স্তরে শুমারি কার্যক্রমে সক্রিয় থাকবেন।
বিবিএস সদর দফতরে ইতোমধ্যেই একটি অত্যাধুনিক কল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ ০৯৬০২৯৯৮৮৭৭ নন্বরে ফোন করে আদমশুমারি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য পেতে পারবেন।
জনশুমারি কার্যক্রমের অধীনে জনসংখ্যাগত এবং আর্থ-সামাজিক তথ্য যেমন পরিবারের সংখ্যা এবং তাদের ধরন, বাড়ির মালিকানা, পানীয় জলের প্রধান উৎস, টয়লেট সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জন্য আগুনের প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স, বয়স, পরিবারের সদস্য, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কাজ, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী, জাতীয়তা এবং বিভিন্ন জেলাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
গৃহহীন ও অসহায় মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য শহর ও গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই প্রায় দুই হাজার জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই জনশুমারিকে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম মঙ্গলবার (১৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত কারণ, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য জনশুমারির তথ্য ও পরিসংখ্যান খুবই জরুরি।