নিজস্ব প্রতিবেদক,কুড়িগ্রাম:
সংবাদ প্রকাশের জেরে কুড়িগ্রামে জুয়েল রানা নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে নৌকার মাঝিরা। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম-যাত্রাপুর সড়কে শুলকুর বাজার এলাকার এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় কুড়িগ্রাম সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞানামা ১০/১৫ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করছেন ওই সাংবাদিক।
জুয়েল রানা অনলাইন পত্রিকা ঢাকা পোষ্ট ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। মামলার আসামী কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ছত্রপুর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে পিনটু (২৫) ,মিলন ( ১৮) একই এলাকার নুরুল, নজরুল ইসলাম, বক্কর আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জন। তারা সবাই নৌকার মাঝি বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের নির্মাণাধীন শুলকুর বাজার ব্রিজের কাছে নৌকা যোগে লোক পারাপারের নামে মাঝিরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছে। এ নিয়ে গত ১৬ অক্টোবর অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ঢাকা পোস্টে “চার বছরেও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণ কাজ, বেশি ভাড়ায় পারাপার” শিরোনামে এবং ১৮ অক্টোবর দৈনিক দেশ রুপান্তর পত্রিকায় “চার বছরেও সেতু নির্মাণ হলো না” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নৌকার মাঝিরা সাংবাদিক জুয়েল রানার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ৭ টার দিকে সাংবাদিক জুয়েল রানা তার সহকর্মী ফজলুল করিম ফরাজী সহ কুড়িগ্রাম শহর থেকে শুলকুর বাজার হয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই ব্রিজের কাছে নৌকায় উঠলে নৌকার মাঝিরা সংবাদ প্রকাশের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিক জুয়েলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলা চালায়। এছাড়াও মাঝিরা জুয়েলকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় এবং নদীর পানিতে ফেলে দেওয়া চেষ্টা করে। এমন সময় জুয়েলের সহকর্মী ফজলুল করিম ফারাজী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
জুয়েল রানা বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে আমার বাড়ি যেতে হয়। মাঝিরা মারধর করার এসময় আমাকে পানিতে ফেলে দিতে ধরে। পরে আমার সহকর্মী ফজলুল করিম ফারাজী স্থানীয়দের সহায়তায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করি। এ ঘটনায় থানায় কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি । অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের টিম কাজ করছে।