ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মত শত্রুদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নতুন প্রজন্মের অস্ত্রের উত্পাদন বাড়িয়েছে রাশিয়া। রোববার দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ এই মন্তব্য করেছেন।
মেদভেদেভ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, নতুন নীতির উপর ভিত্তি করেই আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছি। তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ ‘সবচেয়ে শক্তিশাল ’ অস্ত্রটি কি এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি।
অন্যদিকে শুক্রবার কিরগিজস্তানে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনও দেশ রাশিয়ার ওপর পারমাণবিক হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখালে সে দেশকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা হবে। তবে রাশিয়ার প্রথমেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনও ইচ্ছা নেই, যেমনটি যুক্তরাষ্ট্র করেছিল।
পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের সম্ভাবনাকে বাদ দেয়া হয়নি, অথচ রাশিয়ার নীতি হলো, একেবারে নিরুপায় হয়ে প্রতিরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করা।
এসময় পুতিন অভিযোগ করেন, বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে জার্মানি এবং ফ্রান্স ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে পরে রাশিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তারা ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিয়েছে। আর এখন তারা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।
এরআগেও পুতিন বারবার বলেছেন, রাশিয়া হাইপারসনিক অস্ত্র সহ নতুন ধরণের অস্ত্র তৈরি করছে যা বিদ্যমান ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাজিত করতে পারে। পুতিনের দাবি করেছেন, রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং হাইপারসনিক সিস্টেমগুলো যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আরও আধুনিক এবং এমনকি আরও দক্ষ।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি অর্জনের জন্য তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া।
সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি