ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাণীশংকৈলে বেসরকারি শিক্ষকদের বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ। রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শাকসবজির বীজ ও সার বিতরণ। পশ্চিমাঞ্চল রেলে ভয়াবহ দুর্নীতি, সাবেক ২ জিএমসহ আসামি ১৮ জন উৎসবমুখর পরিবেশে শুক্রবার জুলাই সনদে স্বাক্ষর হবে: প্রধান উপদেষ্টা কথার কথা নয়, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা কাপ্তাইয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) স্থাপনের জোর দাবি স্ত্রীর লাশ ফ্রিজে রেখে নজরুল মেয়েকে বলেছিলেন ‘মা অন্যের সঙ্গে পালিয়েছে’ মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড, আসামি বেকসুর খালাস খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে স্থায়ীভাবে অপসারণ

সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

সাংবাদিক

পাবনায় গণপূর্ত অধিদফতরের একটি সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম বিশ্বাস নামে উপ-সহকারী এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বদলির কারণে পাবনা ছাড়ার আগে সরকারি নিয়ম অমান্য করে কোয়ার্টারের এসব সামগ্রী সরিয়ে নেন তিনি। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা শহরের সরকারি গণপূর্ত কোয়াটার এলাকায় অবস্থিত ভবনটি কিছুদিন আগেও সচল ছিল। কিন্তু এখন দরজা-জানালা খুলে নেওয়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত এক স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। ভেতরে নেই কোনো আসবাবপত্র, জানালায় কাঠের ফ্রেম পর্যন্ত নেই।

এলাকাবাসীর ধারণা, বদলির আগে ইব্রাহিম বিশ্বাস নিজেই এসব খুলে নিয়ে যান।

ছয় মাস আগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম বিশ্বাসকে পাবনা থেকে বদলি করা হয় রাঙামাটিতে। তবে বদলির পর তিনি সরকারি কোয়াটারের সরঞ্জামাদি অপসারণ করে নিয়ে যান।

এবিএম ফজলুর রহমান নামে এ ব্যক্তি বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি জনগণের সম্পদ। একজন প্রকৌশলী যদি নিজেই এমন কাজ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী শিখবে? বিষয়টি প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা উচিত।’

একই মত প্রকাশ করে কমরেড জাকির হোসেন বলেন, ‘এটা স্পষ্টভাবে দায়িত্বের অপব্যবহার। শুধু দরজা-জানালা নয়, এর পেছনে আরও অনিয়ম থাকতে পারে। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম বিশ্বাস বলেন, ‘সেগুলো সংরক্ষণের জন্য নেওয়া হয়েছিল। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় স্থাপন করা হবে।’

এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান তড়িঘড়ি করে অফিস ত্যাগ করেন।

তবে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ কবির জানান, সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় মেরামত করা হবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৪:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
৫২৮ Time View

সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

আপডেটের সময় : ০৪:৫০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

পাবনায় গণপূর্ত অধিদফতরের একটি সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইব্রাহিম বিশ্বাস নামে উপ-সহকারী এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। বদলির কারণে পাবনা ছাড়ার আগে সরকারি নিয়ম অমান্য করে কোয়ার্টারের এসব সামগ্রী সরিয়ে নেন তিনি। এ ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা শহরের সরকারি গণপূর্ত কোয়াটার এলাকায় অবস্থিত ভবনটি কিছুদিন আগেও সচল ছিল। কিন্তু এখন দরজা-জানালা খুলে নেওয়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত এক স্থাপনায় পরিণত হয়েছে। ভেতরে নেই কোনো আসবাবপত্র, জানালায় কাঠের ফ্রেম পর্যন্ত নেই।

এলাকাবাসীর ধারণা, বদলির আগে ইব্রাহিম বিশ্বাস নিজেই এসব খুলে নিয়ে যান।

ছয় মাস আগে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম বিশ্বাসকে পাবনা থেকে বদলি করা হয় রাঙামাটিতে। তবে বদলির পর তিনি সরকারি কোয়াটারের সরঞ্জামাদি অপসারণ করে নিয়ে যান।

এবিএম ফজলুর রহমান নামে এ ব্যক্তি বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি জনগণের সম্পদ। একজন প্রকৌশলী যদি নিজেই এমন কাজ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কী শিখবে? বিষয়টি প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা উচিত।’

একই মত প্রকাশ করে কমরেড জাকির হোসেন বলেন, ‘এটা স্পষ্টভাবে দায়িত্বের অপব্যবহার। শুধু দরজা-জানালা নয়, এর পেছনে আরও অনিয়ম থাকতে পারে। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’

দরজা-জানালা খুলে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম বিশ্বাস বলেন, ‘সেগুলো সংরক্ষণের জন্য নেওয়া হয়েছিল। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় স্থাপন করা হবে।’

এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান তড়িঘড়ি করে অফিস ত্যাগ করেন।

তবে নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ কবির জানান, সরকারি কোয়াটারের দরজা-জানালা দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় মেরামত করা হবে।