সরকারে থাকলে সমালোচনা হবেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্মেলন থেকে বক্তরা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করছিলেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আপনাদের দলের কেউ কেউ সরকারের সমালোচনা করছিলেন। দায়িত্বে থাকলে তো ভুল হবে। সরকারে থাকলে সমালোচনা হবেই।
তিনি বলেন, যে গাছে ফল ধরে সে গাছেই ঢিল মারে, অন্য গাছে মারে না। সরকারে থাকলে সহ্য করার ক্ষমতাও থাকতে হয়, চামড়া মোটা হতে হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সেই সহ্য করার ক্ষমতা আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আজ সরকারের সমালোচনার জবাব দিতে এখানে আসিনি। সমালোচনা করতে গেলে এটি একটি বিতর্ক সভা হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ৫০০ বছর আগে থেকে দুনিয়ার কোনো সরকার শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারেনি। আগামী শত বছরেও কোনো সরকার তা পারবে কি না, সন্দেহ আছে।
সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভালো কাজের প্রশংসা না থাকলে কাজের উৎসাহ কমে যায়। ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে, খারাপ কাজের সমালোচনাও করতে হবে। আমরা মনে করি, ভুলের সমালোচনায় ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ থাকে।
দেশের কল্যাণে রাজনৈতিক দলগুলোকে সাংঘর্ষিক রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসারও পরামর্শ দেন তিনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই দেশ আমাদের সবার। সবাই রক্ত দিয়ে এ দেশ রচনা করে গেছেন। আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য দেশের কল্যাণ করা এবং কল্যাণের জন্য সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান করা দরকার। একইসঙ্গে সবকিছুতে ‘না’ বলার রাজনীতিও বন্ধ হওয়া দরকার।
সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলন করার কথা বলা হলেও তারা তা করেননি। আজ চাইলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও বলতে পারতো, তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সম্মেলন করবে। কিন্তু তারা তা বলেননি। কারণ তারা মনে করেছেন ওখানে সম্মেলন করতে গেলে মুসল্লিদের নামাজের সমস্যা হবে।
অতীতে বিভিন্ন সরকার কওমি মাদরাসার স্বীকৃতির বিষয়ে ‘মুলা ঝুলানো নীতিতে’ ছিলো অভিযোগ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি বহু বছরের পুরোনা দাবি। সেই দাবি পূরণ করা হবে বলে মুলা ঝুলিয়ে রাখা হতো। খালেদা জিয়া এবং এরশাদ সরকার মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন, জিয়াউর রহমানও মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন সেটা বলবো না। তবে এটা ঝুলিয়ে রাখা হতো বা করা হতো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুলা ঝুলিয়ে না রেখে সেই দাবি পূরণ করেছেন।