ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তিন দিনের সরকারি সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেয়া হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তার সঙ্গে থাকবেন।
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থানকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত ইতিবাচক এবং বর্তমান বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন যুগের সূচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কূটনীতিকরা বলছেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটকালে শেখ হাসিনার এবারের সফর সময়োপযোগী। সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে ভারত।
দেশে জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানিতে বেশি খরচ হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছে সরকার। জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘাটতি কমাতে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। এতে করে শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে চাপে রয়েছে অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে জ্বালানির ওপর বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া সফরে বন্ধুপ্রতীম দেশটির সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কুশিয়ারার পানি নিয়ে চুক্তি হতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি এখনও হয়নি বলে জানা গেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত এক দশকে বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির সম্পর্ক এক বিশেষ উচ্চতায় উন্নীত পৌঁছেছে।