প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১৫৫ দেশ ভ্রমণের রেকর্ড করেন নাজমুন নাহার। বিশ্বের ১৫৫ দেশে লাল-সবুজের পতাকা বহনের কৃতিত্বস্বরূপ গত বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. আব্দুল্লাহ ফারুক কনফারেন্স হলে নাজমুন নাহারকে ‘সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২‘ ও বিশেষ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে এ বিশেষ সম্মাননা ও সার্টিফিকেট নাজমুন নাহারের হাতে তুলে দেন সাকসেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মোঃ মোশারফ হোসেন। ইতোপূর্বে এ সম্মাননাটি পান এভারেস্ট বিজয়ী মুহিতসহ অন্য সফল ব্যক্তিত্বরা।
‘স্ট্রাগল টু সাকসেস’- শিরোনামে আয়োজিত নাজমুন নাহারের এ অ্যাওয়ার্ড ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বিশেষ কৃতিত্ব তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন সাকসেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, নাজমুন নাহারের অবদান বাংলাদেশের জন্য সত্যিই গর্বের। নাজমুন স্ট্রাগল করে সাকসেস হয়েছেন। আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। তাই আমরা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিদ্যাপীঠে সাকসেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রাপ্তির সম্মাননা ও গৌরবে ভূষিত করলাম।
তারপর নাজমুন নাহারের বক্তব্যে উঠে এসেছে বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও সফলতার কথা। এ অনুপ্রেরণাদায়ক নারী পুরো বিশ্বকে তুলে এনে সবাইকে ভ্রমণ করালেন কিছুক্ষণ তার অসাধারণ বক্তব্যের মাঝে। সবার করতালি, ভালোবাসা, আনন্দে মুখরিত হয়েছিল বিশেষ মুহূর্তটি। তারপর বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী শামীম রেজা নাজমুন নাহারকে নিয়ে রচিত সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশের পতাকাবাহী সর্বাধিক রাষ্ট্র ভ্রমণকারী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার ১৫৫তম দেশ হিসেবে সবশেষ ভ্রমণ করেন তাজিকিস্তান। দেশে- বিদেশে এ প্রজন্মের নারীদের জন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেন নাজমুন।
দীর্ঘ ২২ বছর বিশ্ব ভ্রমণের নানা প্রতিকূলতা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পার করলেও তার রয়েছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য অর্জন ও সম্মাননা।
নাজমুন নাহার তার এ বিরল কাজের জন্য পৃথিবীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা ‘পিস টর্চ বিয়ারার অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি লন্ডনে পেয়েছেন স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশে পেয়েছেন উইমেন ওয়ারিয়র অ্যাওয়ার্ড ও ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া তিনি পেয়েছেন অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা, পিস রানার অ্যাওয়ার্ড, বিদ্রোহী নারী সম্মাননা, মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড, গেম চেঞ্জার অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড, মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল উইমেন অব বাংলাদেশ, গ্লোব অ্যাওয়ার্ড, অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা, জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড। জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি, সফল নারী সম্মাননা, লক্ষ্মী তারুণ্য সম্মাননাসহ দেশে-বিদেশে মোট পঞ্চাশটির মতো সম্মাননা পেয়েছেন।