সাটুরিয়া -মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটোর বক্তব্য দেবার কেন্দ্র করে সাটুরিয়ার ইউএনও শান্তা রহমানের সাথে সাটুরিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে আসন বিন্যাস ও অনুষ্ঠান অব্যাবস্থানা কে কেন্দ্র করে সাটুরিয়া উপজেলার দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকরা কুচকাওয়াজ ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
এ ছাড়া শনিবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্তরে শহীধ বেদীতে পুস্পস্তক করার সময় চরম বিশৃংখলা দেখা দেয়। এ সময় প্রটোকল ভেঙ্গে পড়লে উপস্থিত বিভিন্ন সংগঠন ও দপ্তর প্রধানগণ অসোন্তুষ প্রকাশ করেন ।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তা রহমান বিতর্কিত উত্তর দিলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। দি এশিয়ান এজ ও দৈকিক সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক প্রকৌশলী লুৎফর রহমানকে এ বিষয়ে তিনি বলেন, পুস্পস্তক অনুষ্ঠানে বিশৃংখলা হলে আামর কি করার আছে।
জাতীয় দিবসে সকালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো। বক্তব্যের মাঝ খানে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তা রহমান অনুষ্ঠান স্থান ত্যাগ করেন। বক্তব্য শেষে আসায় তার সাথে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটোসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আলোচনা সভা ও কুচকাওয়াজের স্টেজে আসন বিন্যাসকে কেন্দ্র করে সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সকল সংবাদকর্মীরা অনুষ্ঠান বর্জন করেন। একই বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলার দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার বাদশা ও শিউলি আক্তার অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যান।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকালের সাটুরিয়া প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমান ইউএনও শান্তা রহমান বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য আমরা শহীদ বেদীদে পুস্পস্তক অপর্ণ করে অনুষ্ঠান বর্জন করে চলে যাই।
এদিকে সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রতি বছরই বালিয়াটি ঈশ^র চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বিজয় দিবসের কুজ কাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুজ কাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে থাকেন। অংশ গ্রহনকারী দলের জন্য সকালের নাস্তা বরাদ্ধ থাকে প্রতিটি দলের জন্য। এবার মাঠে অংশ নেয়া ২০ দলের মধ্যে ৮ দলকে সকালের নাস্তা দেওয়া হয়েছে। বাকী ১২ দলকে নাস্তা দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিজয় দিবসের মাঠে আসা অন্যন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিজয় দিবসে আওয়ামীলীগের সভাপতি, সম্পাদক এমনকি সাংবাদিকদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, প্রশাসন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের তারা মানুষই মনে করে না। উপজেলা প্রশাসনের খামখেয়ালী পনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, শুধু এ জাতীয় দিবসে নয়, বিভিন্ন বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দপ্তর প্রধানগন, সাংবাদিক ও জনসাধারণের সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ করে আসছেন।
এ বিষয়ে সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তা রহমানের সরকারী মোবাইলে ফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে ফোন রিসিভ করেন নি।