টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। এগুলো কিভাবে কার সুপারিশে হয়, কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়? এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল এড়াতে পারেন কিনা এবং তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা সারজিস আলম।
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেছেন সারজিস আলম। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হওয়া বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সারজিস তার পোস্টে লিখেছেন, ‘টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের ওপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দি থাকে। অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে যারা বিএনপির সঙ্গে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে।’
সারজিস প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?’
জুলাই আন্দোলনে এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরলেও সে সবের বিচারকার্য সম্পন্ন হওয়ায় সারজিস বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরল, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না! একটা খুনের বিচার হয় না!’
বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়ার পেছনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সারজিস। বলেন, ‘এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনোভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?’
সূত্রঃ যুগান্তর