চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ২০০ জন।
রোববার (৫ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দুই শতাধিক লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
শনিবার রাতে প্রথমে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত থেকে রোববার বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩৩ জনের মরদেহ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা গেছে, চমেক হাসপাতালে একের পর এক অগ্নিদগ্ধ মরদেহ আসছে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩৩টি মরদেহ আসে। এরপর ১২টার পরে এক অ্যাম্বুলেন্সে করে আরও চারটি মরদেহ আসে। পরে আরও একটি আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ আসছে। কোনো অ্যাম্বুলেন্সে দুটি, আবার কোনো অ্যাম্বুলেন্সে চারটি পর্যন্ত মরদেহ আনতে দেখা গেছে। মরদেহ আসা অব্যাহত রয়েছে। তাই নিহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসেরসহ সাতজনের জনের পরিচয় মিলেছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কনটেইনার ডিপোতে এখনও আগুন জ্বলছে। এ অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্রায় ২০০ জনের একটি দল।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী দলের যোগ দেওয়ার কথা জানান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন। একইসঙ্গে নয় সদস্যের একটি কমিটি করার কথাও জানান তিনি।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, কন্টেইনার ডিপোটিতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড রয়েছে। এ কারণে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আমাদের কেমিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা ও আহত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।