বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ১৮ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চলছে গোলাগুলি। এ ঘটনায় উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই সাথে সীমান্তে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
এতে সীমান্তঘেঁষা এলাকা প্রায় মানবশূন্য হয়ে পড়েছে। তবে সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক জানান, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত ওই এলাকাগুলোতে কয়েকজন পুরুষ ছাড়া বাকি সবাই নিজ উদ্যোগে এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ রাখার হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে প্রবীর ধরসহ (৫৮) স্থানীয় তিন বাসিন্দা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গোলাগুলির সময় একটি মর্টারশেল সীমান্ত অতিক্রম ওই এলাকার একটি বাড়িতে এসে পড়ে। রোববার সকাল থেকে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের ৯৫ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন।