রমজান মানে ইফতারে মুখরোচক বিভিন্ন খাবার খাওয়া। অনেকে আবার ইফতারে ছোলা, বুট, মুড়ি, আলুর চপ, পেঁয়াজু, বেগুনি ছাড়া ভাবতেই পারেন না। অথচ সারা দিন অনাহারে থাকার পর এসব খাবার খাওয়া খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়।
সারা দিন রোজা রেখে মাগরিবের আজান শুনে ইফতারি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ইফতারের পর শরীরে শক্তি ও কর্মচঞ্চলতা বাড়ে। তাই সুস্থ থাকতে ইফতারি খেতে হবে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এ ছাড়া এবারের রোজা গরমের সময় হওয়ায় খাওয়া-দাওয়া নিয়ে একটু বেশি খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
ইফতারে অতিরিক্ত মসলায় ঠাসা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে এমন কিছু খাবার রাখুন, যা আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে শরীরকে কর্মক্ষম করবে। সঙ্গে পূরণ করবে সারা দিনের পানির চাহিদা। এ ছাড়া পানির চাহিদা পূরণে ফলের কোনো বিকল্প নেই। তাই ইফতারে রাখতে পারেন ৫টি স্বাস্থ্যকর ফল, যা পানির চাহিদা পূরণ করে সব সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে।
চলুন জেনে নিই, কোন ফলগুলো খেলে ইফতারে সতেজ থাকা যায়।
শসা
শসায় আছে ৯৫ শতাংশ পানি, ভিটামিন ও মিনারেল। ফলে শসা খেলে শরীরের ভেতর থেকে ঠাণ্ডা থাকে। এতে ক্যালোরি কম থাকে আর ফাইবার বেশি থাকে, ফলে ওজন কমাতে সহায়ক। তাই প্রতিদিন খাবারে শসা রাখতে চেষ্টা করুন। এমনকি শসার জুসও খেতে পারেন।
তরমুজ
গরমকালের অন্যতম একটি ফল তরমুজ। এটির ৯২ শতাংশ পানি হওয়ায় শরীরে পানির চাহিদা সহজেই পূরণ করে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো অ্যাসিড। ফলের রস হিসেবে ইফতারের টেবিলে রাখতে পারেন তরমুজ।
কমলা
মৌসুমি ফল হলেও এখন প্রায় সারা বছরই কমলা পাওয়া যায়। কমলায় রয়েছে ৮০ শতাংশ পানি, যা এই গরমে আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। এ ছাড়া এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-এ, ক্যালসিয়াম ও কপার। ইফতারিতে পান করতে পারেন এক গ্লাস কমলার রস।
আপেল
আপেল আপনার শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে। আপেলে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি এবং অন্যান্য অ্যাসেনশিয়াল পুষ্টি উপাদান। সবুজ আপেল খাওয়াটা খুবই স্বাস্থ্যকর।
আনারস
আনারস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ফলের সালাদ কিংবা স্মুদিতে আনারস ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে ব্রোমেলিন যা এনজাইমের অন্যতম একটি উৎস। এ ছাড়া আনারসে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি৬, ফাইবার, ভিটামিন-বি১, ম্যাগনেসিয়াম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে।