বাংলাদেশ সরকারের কাছে এখন টাকার অভাব নেই। শুধু জনগণের সেবা ও উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট দিতে পারলে বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এমনটাই দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।
তিনি গত ২৮ জুন সন্ধ্যায় লন্ডনের পামট্রি বেংকুয়েটিং হলে ন্যাশনাল হার্ট হাসপাতাল সিলেট-এর নির্মাণাধীন ৭ম তলার স্থায়ী ডোনার সম্মাননা হিসেবে সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফ্রেন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, চ্যানেল এস চেয়ারম্যান ও সিক্সথ ফ্লোর প্রজেক্ট ইউকের প্রধান আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। তিনি বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হার্টের রোগীদের একটা তালিকা উল্লেখ করে প্রবাসী সিলেটবাসীর এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম। তিনি বলেন, স্বদেশে ইউকে প্রবাসীদের আর্থিক সহযোগিতায় এত বড় হাসপাতাল তৈরী হয়েছে, তা আমি জানতাম না। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে আমি প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ সকল মহৎ উদ্যোগে অভিভুত। এখন থেকে এরকম যেকোন জনহিতকর কাজে বরাবরের মতো যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাইকমিশন সর্বদা সহযোগিতায় প্রবাসীদের পাশে থাকবে’।
অনুষ্ঠানে ইউকে কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী হাসপাতালের প্যাট্রন নিযুক্ত হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পার্মান্যান্ট ডোনার সদস্যপদ লাভ করলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের এক্সিকিউটিভ মেম্বার ও ইউকে সেক্রেটারি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মিছবাহ জামালের সঞ্চালনায় ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার, সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার’- এ বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গানের কথামালা দিয়ে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ডা. শম্পা দেওয়ানের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানের সূচনা ও স্বাগত বক্তব্যের অংশ হিসেবে হাসপাতালের ৭ম তলা নির্মাণাধীন কর্মতৎপরতার বিভিন্ন ফুটেজ দেখানো হয়।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত ও ইউকে কমিটির ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মরহুম হাফিজ মজির উদ্দিন, মরহুম এম ইয়াকুব, মরহুম এম এ আহাদ, মরহুম তারা মিয়া খান, মরহুম খন্দকার ফরিদ উদ্দীন, মরহুম এ গনিসহ ইউকে কমিটির সকল প্রয়াতদের মাগফেরাত কামনা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন ইউকে পার্মানেন্ট ডোনার মেম্বার হাফিজ নাহমাদ মিছবাহ।
এরপর প্রধান অতিথিকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ওমেন্স সেক্রেটারি পলি রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জয়েন্ট সেক্রেটারি মনসুর আহমদ খান।
উল্লেখ্য, হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের চিফ প্যাট্রন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। সেই থেকে এই হাসপাতালটি সিলেট তথা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হার্টের রোগীদের সুষ্ঠু সেবা প্রদান করে আসছে। সিলেট তথা সমগ্র বাংলাদেশে দিন দিন হার্টের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগীদের চাপ বেশি থাকায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সিলেটের ৭তম তলা নির্মাণের পাশাপাশি আরো বর্ধিত করণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- ফ্রেন্ডস অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সিলেটের চেয়ারম্যান মাহমাদুর রশিদ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেটের আন্তর্জাতিক রিলেশন সেক্রেটারী এস আই আজাদ আলী, ইউকে কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মহিব চৌধুরী, ইউকে কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আলাউদ্দিন আহমদ, উপদেষ্টা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট এম শামসুদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মানিক মিয়া, বিসিএ প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম ওবিই, বিবিসিসিআই’র নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু, কাউন্সিলার জাহাঙ্গির হক, পার্মন্যান্টে ডোনার মেম্বার কায়েস চৌধুরী, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- এমদাদ চৌধুরী ডাইরেক্টর ফরেন মিনিস্টার অফিস ঢাকা বাংলাদেশ, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাশ পাশা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, বর্তমান সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ, চ্যানেল এস’র নিউজ এডিটর তানভীর আহমদ, ফাতেমা পি চৌধুরী, সাংবাদিক আব্দুল মুনীম জাহেদী ক্যারল, সাংবাদিক মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, জয়েন্ট ট্রেজারার গোলাম রব্বানী রুহী আহাদ, সাংবাদিক রহমত আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান সায়েদ, ২৬ টিভির সিইও জামাল খান, রফিুকুল হায়দার, এম আলাউদ্দিন, অহিদ উদ্দিন, ফজলুল হক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আলী সাদেক শিপু, নাহিদা মিছবাহ, আয়েশা খানম, মোহাম্মদ আবুল লেইছ, আব্দুল বারী, নূরুল ইসলাম আম্বিয়া, গয়াছ মিয়া গিয়াস, কবীর আহমেদ খলকু, ইব্রাহীম আলী খন্দকার, গোলাম রসুল মুহি আহাদ, শাহীন আহমেদ উজ্জল, ইকরাম জামান হিরণ, ওয়ালিউর রহমান চৌধুরী টিপু, এম এ মতিন, মনজ্জির আলী সেট, মাহতাব উদ্দিন, আশরাফ আহমেদ, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, আঙ্গুর আলী, শেখ ফারুক আহমদ, এনামুল মুনীম শামিম লোদী, ইসলাম উদ্দিন, ফারুক মিয়া, মুসলেহুজ্জামান, শামছুল হক, আব্দুস সুবহান, বার্মিহ্যাম থেকে চ্যানেল এস’র সাবেক প্রতিনিধি আশরাফ আহমেদ, টিভি ক্যামেরা ব্যক্তিত্ব ফজলুল হক, মাসুদ আহমেদ, এখলাসুর রহমান পাক্কু, আব্দুল মুকিত মুখতার, মোঃ ওয়ারিছ আলী, এখলাছুর রহমান ফারুক খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে ছিল স্থায়ী ডোনারদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ। প্রধান অতিথি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র হাত থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন যথাক্রমে- কেনারি ওয়ার্ফ গ্রুপের ডাইরেক্টর ড. জাকির খান, কায়েস চৌধুরী, জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মিজানুর রহামন মিজান, আশিক রহমান, শেখ আলিওর রহমান, মুহাম্মদ শামিম আহমদ, মুহাম্মদ আফরোজ মিয়া, মুহাম্মদ কামরুজ্জামান ইসাক, ড. সৈয়দ মাশুক আহমদ, মুহাম্মদ আব্দুস সুবহান, মুহাম্মদ আশরাফ চৌধুরী জাহান মিয়া, নাজ ইসলাম, সাঈদা সুরাইয়া চৌধুরী, মুহাম্মদ মতিউর রহমান খোকন, আব্দুল মুহিত চৌধুরী, ডা. এটিএম মান্নান, সেলেন মহিউদ্দিন আহমদ, পাবেল কাদের চৌধুরী, আব্দুস সহিদ, মো. দিলওয়ার হোসেন, হোসনা রহমান, মিফতাউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম, মরহুম নবাব আলী ও মরহুম সলিমা খাতুনের পক্ষে মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, হারুন মিয়া, জাহিদুর রহমান, এম এ কাইয়ুম, মাহবুবা রহমান, রিও আজিজা সেলিম, ব্যারিষ্টার লুৎফুর রহমান, তফজ্জুল মিয়া, আব্দুল মুকিত শামীম, এম শামসুদ্দিন, সেলিম আব্বাস ও রফিকুল ইসলাম, প্রমুখ। সাউন্ড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে ছিলেন চ্যানেল এস’র পাপ্পু।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম এক হাজার পাউন্ড, কুশিয়ারা গ্রুপের চেয়ারম্যান হারুন মিয়া এক লক্ষ টাকা, নাজ ইসলাম এক হাজার পাউন্ড, আশরাফ আহমেদ এক হাজার পাউন্ড, কামরুজ্জামান ইসাক এক হাজার পাউন্ড ও আব্দুল মুহিত চৌধুরী এক হাজার পাউন্ড অনুদান প্রদান করেন। শেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।