ফেসবুক-টুইটার-ইউটিউবের মতো আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় চায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যেন বাংলাদেশে নিবন্ধন নেওয়ার মাধ্যমে আইনানুগভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বলা হয়, ফেসবুক-ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে অনেক সময় নানা অপপ্রচার চালানো হয়। এর সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো দেশে নিবন্ধিত না হওয়ায় এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই করার কিছু থাকে না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সব সময় সাড়া পাওয়া যায় না। তাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক। এই মাধ্যমগুলো দেশে ব্যবসা, বিনোদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগের কাজে যেমন ব্যবহৃত হচ্ছে, তেমনি সাইবার অপরাধীরাও অবাধে বিচরণ করছে। অনেক নারী, শিশু, সাধারণ মানুষ তাদের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় রাষ্ট্রও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব বিষয়ে জবাবদিহি করতে হলে কোম্পানিগুলোর এখানে নিবন্ধিত হওয়া, তাদের কার্যালয় থাকা উচিত। এটি করা হলে সরকার ও কোম্পানিগুলো এসব বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। ভারত-অস্ট্রেলিয়াসহ কিছু দেশ এটি করতে বাধ্য করেছে। তা ছাড়া এসব মাধ্যমে যে ব্যবসা হচ্ছে, তার কোনো কর সরকার পাচ্ছে না। এতে বছরে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে তারা কোম্পানিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সুপারিশ করেছেন।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমিটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, অনলাইন-আইপি টেলিভিশন এবং অনলাইন রেডিও নিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে।
বৈঠকে দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট যুগোপযোগী করার জন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন’ দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ বেতারের পদ সৃজনসংক্রান্ত নথি দ্রুত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সিমিন হোসেন, মুহম্মদ শফিকুর রহমান, মুরাদ হাসান এবং খ. মমতা হেনা বৈঠকে অংশ নেন।