সৌদি প্রতিনিধি
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর- এমন কোনো খাবার হজযাত্রীদের মাঝে বিতরণের বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন। তারা বলেছে, হজযাত্রীদের কাছে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি বা বিতরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এমন কাজের প্রমাণ পেলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
সৌদির পাবলিক প্রসিকিউশন বলেছে, খাদ্য নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন একটি বড় অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে, খাদ্য নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং দশ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
এছাড়া দোষীদের লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হবে। তারা খাদ্য-সম্পর্কিত কোনো কাজ ও কার্যকলাপে আর জড়িত হতে পারবে না।
সৌদি প্রশাসন জানিয়েছে, খাদ্যে ভেজালকারীরা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নিজের টাকায় গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাদের নাম প্রচার করা হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির প্রকোপ কমে আসায় দুই বছর পর এবার স্বাভাবিকভাবেই হজের আয়োজন করেছে সৌদি আরব। দশ লাখ মানুষ এবারের হজে অংশ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে বিশ্বের বেশিরভাগ হজযাত্রী সৌদিতে পৌঁছে গিয়েছেন এবং বাকিরা অপেক্ষায় রয়েছেন।
চলতি বছর গত ২০ দিনে (২৪ জুন দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত) বাংলাদেশ থেকে ৩৭ হাজার ৮৯ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৩৮৫ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ৩৩ হাজার ৭০৪ জন। হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মোট ১০৩টি ফ্লাইটে সৌদি গেছেন হজযাত্রীরা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৫৭টি, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৪১টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৫টি।