দক্ষিণ-পূর্ব স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে জানুয়ারির শেষ দিক থেকে জমা পড়া প্রায় চার হাজার আশ্রয়ের আবেদন হারিয়ে গেছে। একটি কম্পিউটারে গুরুতর কারিগরি সমস্যার কারণে এসব আবেদনের হদিস মিলছে না। এপ্রিলের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত এ সমস্যার কোন সমাধান হয়নি৷ এতে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী আশ্রয়প্রার্থীরা৷
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, স্পেনের দক্ষিণ-পূর্বে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে ২৮ জানুয়ারি থেকে জমা হওয়া সবকটি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন হারিয়ে গেছে। একটি কম্পিউটারে গুরুতর নিরাপত্তা সমস্যার কারণে জমা পড়া সবকটি আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আবেদনের ই-মেইল মুছে গেছে।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম লেভান্তে-ইএমভি জানিয়েছে, কম্পিউটারের কারিগরি সমস্যার কারণে প্রায় চার হাজার নথি মুছে গেছে। এখনো কারিগরি সমস্যা সমাধানের পথ মেলেনি। তবে স্পেনে আসা বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়দের আবেদনে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় আবেদনগুলো আলাদা পদ্ধতিতে জমা নেয়া হয়েছিল৷ এসব আবেদন সাধারণ নিয়মে লিপিবদ্ধ করা হয়নি৷
এই সমস্যা সমাধানে বর্তমানে চালু থাকা বৈদ্যুতিক আবেদন পদ্ধতির পরিবর্তনের চেষ্টা করছে পুলিশ৷ স্পেনের অন্য প্রদেশগুলোতে যেন একই সমস্যা না ঘটে সেটি জানিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষদের চিঠি দিয়েছে স্প্যানিশ আশ্রয় বিষয়ক দপ্তর৷
স্পেনের পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অনলাইনের পরিবর্তে সরাসরি আবেদন জমা নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয়প্রার্থীরা নতুন করে কোনো আবেদন জমা দিতে পারবেন না৷ কারিগরি ব্যর্থতার ফলে এই অঞ্চলে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকা বেড়ে চলেছে৷
প্রথমবার আশ্রয় আবেদনের অনুরোধে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ সেখানে আগামী জুন মাস পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেয়ার জন্য কোনো ‘টাইম স্লট’ ফাঁকা নেই বলে জানিয়েছে স্পেনের সংবাদ মাধ্যমগুলি৷
প্রসঙ্গত, আফ্রিকা থেকে এবং ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করা অভিবাসীদের জন্য স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রবেশদ্বার৷ সেখানে আসা অভিবাসীদের অনেকেই ইউরোপের অন্যান্য দেশে তাদের যাত্রা অব্যাহত রাখলেও কেউ কেউ স্পেনে থেকে যেতে চান পাকাপাকিভাবে৷
আন্তজার্তিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আট হাজার ৫০০ জনের এরও বেশি অভিবাসী স্পেনে এসেছেন৷ গেল বছর ২০২১ সালে প্রায় বাইশ হাজার ৩০০ অভিবাসী স্পেনের বিভিন্ন দ্বীপ হয়ে প্রবেশ করেছিলেন৷