ব্যবধানটা আরেকটু বেশি হতে পারত। নানা বিতর্ক আর জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে গিয়েছিল জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে কিক অফের শুরুটা যে হলো নাটকীয়তা দিয়ে। আল বাইত স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে গোল হয়েছিল। উল্লাসে মেতেও উঠেছিলেন ইকুয়েডর খেলোয়াড়রা। কিন্তু পরমুহূর্তে আবার তা বাতিল হয়ে যায়। এমন রোমাঞ্চ শেষ পর্যন্ত ধরে রাখে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। এশিয়া তথা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশটির বিপক্ষে অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়ার জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। হতাশা নিয়ে আল-বাইত প্রস্থান করেন কাতার সমর্থকরা।
আভাস ছিল জমজমাট লড়াইয়ের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন ইকুয়েডর অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। সতীর্থের অ্যাক্রোবেটিক পাসে হেডে বল জালে জড়িয়ে উৎসবও করেন। তবে ভিএআর এ বাতিল হয় সেই গোল।
তবু আক্রমণ চালাতে থাকে ইকুয়েডর। ১১ মিনিটে প্রথম কর্ণার পায় তারা। যা এবারের আসরের প্রথম কর্ণারও। সেই আক্রমণ থেকে অবশ্য কিছু করতে পারেনি। তিন মিনিট পর বক্সে ঢোকা এনার ভ্যালেন্সিয়াকে ফাউল করেন কাতার গোলকিপার। কাতারের গোলকিপার দেখেন হলুদ কার্ডও।
১৬ মিনিটে পোস্টের ডানদিকে নিচু শট নেন ভ্যালেন্সিয়া। গোলকিপার ঝাপ দিয়েছিলেন উল্টো দিকে। ফলে কোনো বাধা ছাড়াই হয় কাতার বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি। তাতে ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যান ভ্যালেন্সিয়া।
৩১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করনে অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়। ডান দিক থেকে সতীর্থ ডিফেন্ডার অ্যাঞ্জেলো প্রেসিয়াদোর দারুণ ক্রস দূরের পোস্টে লাফিয়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। বিরতির বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে দারুণ একটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি কাতার। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে ঠিকমতো মাথা ছোয়াতে পারেননি আলমোজ আলি।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। ৭১ মিনিটে একসঙ্গে দুই পরিবর্তন আনেন কাতারের কোচ। ৭৫ মিনিটে আকরাম আফিফ বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে শট নেন। তা বারের অনেক উপর দিয়ে যায়। ৭৬ মিনিটে ইকুয়েডরের জয়ের নায়ক ভ্যালেন্সিয়াকে তুলে নেন ইকুয়েডর কোচ। এ সময় তাকে খুড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়। কাতার তাদের প্রথম কর্ণার পায় শেষ যোগ করা সময়ের শেষ মূহুর্তে। তবে তাতে ম্যাচের ফলে কোন পরিবর্তন আসেনি।