নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে বালু নদী থেকে উদ্ধার করা শিশু ওসমান গণি স্বাধীন এবং দ্বীন ইসলাম হত্যা অভিযোগে তুলে ফাঁসির দাবিতে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের স্বজনেরা এক মানববন্ধের আয়োজন করেন। এ সময় শিশুর বাবা শাহিনুর রহমান, মা উম্মেহানি মুন্নি, দাদা রেজাউল আলমসহ তাদের স্বজন এবং দ্বীন ইসলামের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত স্বাধীনের বাবা শাহীন অভিযোগ করেন, ‘তারা জমির জন্য আমার নিষ্পাপ ছেলেটারেও মাইরা লাশ নদীতে ভাসায়া দিছে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।’
স্বাধীনের দাদা রেজাউল অশ্রুসিক্ত ভাবে নাতি হত্যার বিচার চেয়ে অভিযোগ করেন, রফিক আর মিজানের অত্যাচারে রূপগঞ্জের মানুষ সবসময় আতঙ্কে থাকে। কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি এতদিন। এখন আর আর চুপ থাকবো না।
এদিকে, নিহত দ্বীন ইসলামের মা ঝরনা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, কোনো দল করিনা। শুধু জমির জন্য আমার কলেজে পড়া ছেলেটারে গুলি কইরা মাইরা ফেলছে মিজান। তাদের সাহায্য করছে জসু বাহিনী। আমার কিছু নাই, আমি খুবই গরিব মানুষ। ওরা আামার পোলাটারেও মাইরা ফেলছে, আমারেও বাড়িত থাইক্যা বাইর করে দিছে। আমি এই খুনিদের ফাঁসি চাই।
ঝরনা বলেন, বারাবার থানায় ঘুরেও বিচার পাইনি। পুলিশ আমাদের সাহায্যে করেনি।
রূপগঞ্জের বাসিন্দা হাজী মনিরুল ইসলাম বলেন, মিজান ও রফিক আমার বাড়ির ৯৫ শতাংশ জায়গা দখল করে নিছে। এরপর আমার নামেই চাঁদাবাজির মামলা দিছে। তাদের অত্যাচারে আমাকে এলাকাছাড়া হতে হয়েছে। আমার মতো আরও অনেকেই রফিক আর মিজানের অত্যাচারের শিকার হলেও কেউ ভয়ে মামলা করারও সাহস পায়নি এতদিন। আমরা এখন মিজান আর তার ভাইয়ের বিচার চাই।