চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে। অন্যথায় নতুন পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
রাজকীয় সৌদি সরকারের নীতি অনুযায়ী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৬ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালের হজযাত্রীদের পাসপোর্টে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদ) সঠিকভাবে উল্লেখ রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করতে হবে।
সে লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনাধীন ২০২০ সালে নিবন্ধিত হজযাত্রী যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে অথবা পাসপোর্ট পরিবর্তন করা হয়েছে তাদের পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের করণীয়: সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিবন্ধন পয়েন্ট/কেন্দ্রের মাধ্যমে (পাসপোর্ট পরিবর্তন অপশন ব্যবহার করে) পাসপোর্ট পরিবর্তনের আবেদন করে তথ্য হালনাগাদ করবেন।
একই সঙ্গে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যারা প্রাক-নিবন্ধনের জন্য মনোনীত হয়েছেন তাদেরকে ন্যূনতম আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি মেয়াদ সংবলিত হালনাগাদ পাসপোর্টসহ নিবন্ধন পয়েন্ট/কেন্দ্রের মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয়: বেসরকারি ব্যবস্থাপনাধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীরা স্ব-স্ব এজেন্সির মাধ্যমে (পাসপোর্ট পরিবর্তন অপশন ব্যবহার করে) ন্যূনতম আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি মেয়াদ সংবলিত পাসপোর্টের তথ্য হালনাগাদের আবেদন করবেন। সময় স্বল্পতার কারণে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা নির্ধারণের সুবিধার্থে পাসপোর্টের মেয়াদ জটিলতাজনিত কারণে হজযাত্রীর প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রম ব্যহত হবে না।
হজযাত্রীর ভিসাযুক্ত পাসপোর্টের পেছনে মোয়াল্লেম নম্বর, মক্কা/মদিনার আবাসনের ঠিকানা সংবলিত ছাপা স্টিকার সংযুক্ত করতে হবে। তা সম্ভব না হলে, কমপক্ষে হাতে লেখা উক্ত তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের জেদ্দা/মদিনা বিমানবন্দর থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সির হজ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি বাতিল করা হতে পারে।
হজ গমন বিষয়ে যে কোনো হালনাগাদ তথ্য পেতে নিয়মিত www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটটি ব্রাউজ করার অনুরোধ করা হয়েছে।