নানা আলোচনা-সমালোচনায় বিদ্ধ কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটের মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে হুদা কমিশনের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড। এরমাধ্যমে শেষ হলো দশম ইউপি নির্বাচন। চলতি ইউপি নির্বাচন ঘিরে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন-ইসি’র অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, স্থানীয় সরকারের চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মোট আটটি ধাপে সারাদেশে মোট চার হাজার ১৩৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে ৭২.২০ শতাংশ। একই সঙ্গে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত সচিব।
তিনি বলেন, সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অষ্টম ধাপের সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেষ হওয়া আটটি ধাপে মোট বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩৭১ জন নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৯৪টি ইউনিয়ন পরিষদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সারাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এরপরও কোথাও কোথাও সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে কিছু প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এজন্য নির্বাচন কমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান একটি মহাকর্মযজ্ঞ। এতে ব্যাপক জনবলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও এর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, কোস্টগার্ড এবং আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান ও যুগ্মসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।