সৌদি প্রতিনিধি: প্রায় ১১ হাজার ৬৪৭ জন আবাসিক এবং শ্রম আইন এবং সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনকারী বিদেশিকে বিতাড়িত করেছে সৌদি আরব। এছাড়া ১৪ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট এবং জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ পাসপোর্ট (জাওয়াজাত) দ্বারা পরিচালিত যৌথ অভিযানের সময় ১৩ হাজার ৬১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ৭৫২ জন আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারী, প্রায় ৩ হাজার ১৯৭ জন সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনকারী এবং ১ হাজার ৬৬৬ জনেরও বেশি শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী।
সৌদির সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় মোট ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৪৮ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ৫ শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার সাথে জড়িত এবং ৪৯ জনকে রাজ্যের সীমান্ত অতিক্রম করে পালানোর চেষ্টা করার জন্য গ্রেফতার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যারা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং তাদের আশ্রয় দেওয়ার সাথে জড়িত ছিল।
বর্তমানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার অধীনে রয়েছেন ৯০ হাজার ৭৫৬ জন। যার মধ্যে ৮৬ হাজার ৪১৩ জন পুরুষ এবং ৪ হাজার ৩৪৩ জন নারী। এছাড়া ৭৯ হাজার ৭৮ জনকে নির্বাসনের জন্য ভ্রমণ নথি পেতে তাদের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছিল।
সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, সীমান্ত সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনকারী কাউকে যদি কেউ পরিবহন ও আশ্রয়সহ কোনো প্রকার সহযোগিতা করে তাহলে এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য ওই ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল জরিমানা হতে পারে।
এছাড়া কোনো অপরাধীকে পরিবহনে সহযোগিতা করলে তার পরিবহন, আশ্রয় দিলে তার বাসস্থান বাজেয়াপ্ত করা হবে। সহযোগিতাকারীর নাম সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের ব্যাপারে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব। তাদেরকে আটক করতে দেশজুড়ে যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী নির্দিষ্ট শাস্তি ভোগের পর এসব বিদেশিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়াও এসব বিদেশিদের ওপর সৌদিতে এবং ক্ষেত্র বিশেষে গালফ দেশগুলোতে প্রবেশে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।