প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই র্যাব দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে । এছাড়া প্রতারণা ও জালিয়াতি দমন র্যাবের একটি গুরূত্বপূর্ণ ও চলমান অভিযান। র্যাবের এই অভিযান দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ৩০ অক্টোবর ২০২২ খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানী ঢাকার রূপনগর থানাধীন ইস্টার্ন হাউজিং ও মিরপুর-০২ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৬০,০০,০০,০০০/- (ষাট কোটি) টাকা সমমূল্যের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি, নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প ও সেগুলো তৈরির প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সরঞ্জামাদিসহ উক্ত কারখানার মালিকসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের নাম ১। মোঃ মোতাহার মিয়া (২৬), ২। মোঃ মিকাইল মিয়া (২০) ও ৩। মোছাঃ আম্বিয়া পারভেজ লুপা (২০) বলে জানা যায়। এসময় তাদের নিকট থেকে ৫০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২৫৫৫০০ পিস, ২০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ১৮০০০০ পিস, ১০০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৩৬৯০০০০ পিস, ৫০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ৪১৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ২০৪০০০০ পিস, ১০ টাকার জাল ডাক টিকেট ২২৬০০০ পিস, ১০০ টাকার ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প ১৭০০০০০ পিস, ২০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৩৬৮০০০ পিস, ১০ টাকার জাল কোর্ট ফি ৮৮০০ পিস, ০২টি ননজুডিসিয়াল জাল স্ট্যাম্প/রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর মেশিন, ০১টি সিপিইউ, ০১টি মনিটর, ০১টি প্রিন্টার, ০১টি কী-বোর্ড, ০১টি মাউস, ০৩টি পাওয়ার ক্যাবল, ০২টি ডাটা ক্যাবল, ০২টি জাল স্ট্যাম্প বিক্রি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রার, ০১টি কেমিক্যাল সহ জারিকেন, ০৯টি বিভিন্ন প্রকার জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর জন্য টিনের ডাইচ, ২০০০ পাতা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প তৈরীর কাগজ, ০৪টি ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে জলছাপ দেওয়ার ডাইচ এবং জালকৃত বিভিন্ন মানের রেভিনিউ স্ট্যাম্প বিক্রির নগদ- ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প, জাল বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুত ও সরবরাহকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা প্রায় ছয় মাসের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশ সরকারের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসের মুদ্রনযোগ্য বিভিন্ন সরকারী রেভিনিউ স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে দেশের বিভিন্ন অসাধু রেভিনিউ স্ট্যাম্প, বাংলাদেশ কোট ফি ও নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের নিকট সরবরাহ করে আসছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর কার্যক্রম প্রক্রিয়ধীন রয়েছে।