সিউলের বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচটি ৫-১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে হওয়া ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেছেন নেইমার, একবার করে জাল খুঁজে পেয়েছেন রিচার্লিসন, কোতিনহো ও জেসুস।
শক্তি-সামর্থ্যে কোরিয়া থেকে অনেক এগিয়ে থাকা ব্রাজিল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। যার দরুন সপ্তম মিনিটে রিচার্লিসনের গোলে এগিয়ে যায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বক্সের বাম প্রান্ত থেকে সান্দ্রোর নিচু করে নেওয়া পাস ফ্রেড শট নিলেও গোলমুখে রিচার্লিসনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। পরের মিনিটেই সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনহা। নেইমারের কাটব্যাকে ফাঁকায় থাকা রাফিনহা শট নিলে তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ১২ মিনিটে প্রতি আক্রমণে গিয়ে ব্রাজিলের রক্ষণ কাঁপায় কোরিয়া। বক্সের সামনে থেকে সনের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন ওয়েভারতন।
প্রতি আক্রমণে গিয়ে ৩১ মিনিটে সমতায় ফেরে কোরিয়া। ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দুই খেলোয়াড়কে সুযোগ না দিয়ে শরীর ঘুরিয়ে দূরের পোস্টে লক্ষ্যভেদ করেন উই জো হোয়াং। ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি ব্রাজিলের। ৪২ মিনিটে স্পট কিকে গোল করে সেলেসাওদের এগিয়ে নেন নেইমার। এর আগে বক্সের ভেতর সান্দ্রোকে ফেলে দেন ইয়ং লি। কিন্তু রেফারি সরাসরি পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ভিএআর চেকে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও কোরিয়াকে চাপে রাখে ব্রাজিল। ৫৩ মিনিটে পাকুয়েতার প্রচেষ্টা দারুণভাবে আটকে দেন গোলকিপার সিউং কিম। ৫৭ মিনিটে আবারও পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। এবারও সফল স্পট কিকে ব্রাজিলের ব্যবধান বাড়ান নেইমার। এরপর ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফিলিপে কোতিনহো, জেসুসরা মাঠে নেমে আক্রমণে আরো ধার বাড়ান। ৭৫ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে রাফিনহার শট সাইডবারে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। তবে ৮০ মিনিটে ব্যবধান ৪-১ করে ফেলেন বদলি নামা কোতিনহো এবং নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা তিন মিনিটের মাথায় কোরিয়ার জালে পঞ্চমবারের মতো বল পাঠান গ্যাব্রিয়েল জেসুস।