আগামী অক্টোবর মাস থেকে সারা দেশে নগদ মুদ্রা ছাড়া সম্পূর্ণ ক্যাশলেস (ডিজিটাল লেনদেন) পদ্ধতিতে ই-নামজারি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জটিলতা এড়ানোর জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি আর ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে (ক্যাশ) দেওয়া যাবে না।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আভ্যন্তরীণ এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিসচিব এসব কথা বলেন।
সভায় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খানসহ মন্ত্রণালয় ও এর দপ্তর/সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ই-নামজারি আবেদন ফি (কোর্ট ফি) ২০ টাকা ও নোটিশ ফি (নোটিশ জারি ফি) ৫০ টাকা ই-নামজারি আবেদন করার সময়ই অনলাইনে দিতে হতো। তবে এতদিন রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা ও খতিয়ান সরবরাহ ফি ১০০ টাকা অনলাইনে ও সরাসরি ক্যাশের মাধ্যমে দুই ভাবেই নেওয়া হতো। আগামী অক্টোবর থেকে এ দুটি ফি আর কাগজের নোটে নেওয়া হবে না। চার ধরনের ফি প্রদানে নামজারির জন্য মোট প্রকৃত খরচ ১১৭০ টাকা।
ভূমিসচিব বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব এবং জটিলতা এড়ানোর জন্য ই-নামজারি আবেদন ও নোটিশ ফির মতো নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফিও কেবল অনলাইনে নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা চাচ্ছি নামজারির জন্য কারও যেন কোনোভাবেই ১১৭০ টাকার বেশি অর্থ খরচ না হয়, তা নিশ্চিত করতে। এছাড়া, ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোনো ফি আমরা নেব না।
উল্লেখ্য, ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, নামজারি অনুমোদনের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহের জন্য মোট ১ হাজার ১০০ টাকা অনলাইন বা সরাসরি নগদ অর্থের মাধ্যমে গ্রহণ করায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে। এই জটিলতা দূর করতে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে রেকর্ড সংশোধন এবং খতিয়ান সরবরাহ ফি শুধু অনলাইনে গ্রহণ করা হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, ডিসিআর ও খতিয়ানের কোনো ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। একইভাবে না-মঞ্জুরকৃত কোনো নামজারি আবেদন পুনরায় চালু হলে ওই আবেদন মঞ্জুরের পর রেকর্ড সংশোধন ও খতিয়ান সরবরাহ ফি বাবদ মোট ১ হাজার ১০০ টাকা দিতে হবে।