পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলার প্রক্রিয়া বলে মনে করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনায় অনেকে সুযোগ নিচ্ছে। এটিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করেন না তিনি।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে। সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই সরকারের যে কাঠামো, তাতে যারা এসেছেন, তাদের বেশিরভাগই টেকনোক্র্যাট, বুরোক্র্যাট, একাডেমিশিয়ান আছেন। দুজন ছাত্রনেতা, কিছু এনজিও কর্মকর্তা। এখানে যেটা দুর্বলতা, সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক মুখ নেই। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নিয়মিত আলোচনা করে তা কমানো যেত। এটা বোধহয় বেশি করা যাচ্ছে না, কম (আলোচনা) হচ্ছে। তাতে রাজনৈতিক দুর্বলতা থাকছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের পরিবর্তনের পর যেটি হয় (সবকিছুতেই হয়), সরকারে একটি সমস্যা দেখা দেয়। স্টকহোল্ডারদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। সুযোগ সন্ধানীরা সুযোগ নিতে চায়। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এটা আছে। তদবির বেড়ে যায় খুব। সবাই তখন নতুন সরকারের কাছে যেতে চায়। ফলে আমরা যদি আশা করি, সরকার দ্রুত সুন্দর ও সঠিকভাবে রান করবে, তা ঠিক হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সব জায়গায় নিরপেক্ষ বা পরিবর্তনের পক্ষের লোক বসানো সম্ভব হয়নি। ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজন রয়ে গেছে। এ বিষয়ে তাদের (সরকার) অজ্ঞতা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেহেতু তাদের আলোচনা কম হচ্ছে, তাই দূরত্ব থাকছে একটা। ফলে এ জায়গায় একটা সমস্যা থাকছে। তাই ৫ আগস্টের পর যতগুলো ঘটনা ঘটছে এগুলো বিচ্ছিন্ন নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের সাথে চুক্তি করেছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান করেনি। আদিবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনাগুলো হচ্ছে, এগুলোও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দ্রুততম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় সমস্যা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধ কোনো সমাধান না। তবে লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধের কথা জানান তিনি।